ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না মাদারীপুরের চাতাল শ্রমিকরা

প্রকাশিত: ৭:০২ অপরাহ্ণ, মে ১, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : দিনের পর দিন হাড়ভাঙা খাটুনির পরও ভাগ্যের চাকা ঘুরছে না মাদারীপুরের চাতালে কাজ করা কর্মজীবী নারীদের। বারবার উঠে আসছে ন্যায্য মজুরি পরিশোধ না করার অভিযোগ।

তবে ব্যবসায় মন্দাভাবকে দায়ী করছেন চাতাল মালিকরা। আর সমস্যা সমাধানে সরকারি হস্তপে দাবি করেছেন জেলা মহিলা উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাদারীপুরের চারটি উপজেলায় শতাধিক চাতালে এক হাজার ২০০ এরও বেশি নারী শ্রমিক কাজ করেন। প্রতিদিন প্রায় ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাজ করেও তারা পাচ্ছেন না ন্যায্য মজুরি। আবার কখনো কখনো কাজের বিনিময়ে চাল দিয়েও বিদায় করা হচ্ছে তাদের। ফলে সমাজে তারা অবহেলিতই রয়েছেন।

রাজৈরের টেকেরহাটে ধানের চাতালে কর্মরত আলো বিবি বলেন, ‘রাত-দিন পরিশ্রম করে যে টাকা পাই তাতে আমাদের সংসার চলে না। যদি কিছু টাকা বাড়ানো হতো তাহলে আমরা বাঁচতে পারতাম।’

কালকিনির ভাঙ্গাব্রিজ এলাকার ফাতেমা বেগম বলেন, দিন-রাত যে পরিশ্রম করি তাতে তেমন একটা মজুরি পাই না। সরকার যদি একটি ন্যায্য মজুরি কাঠামো করে দিত তা হলে হয়তো কষ্ট করে সংসার চালাতে হতো না।

সদর উপজেলার চাতাল মালিক আনোয়ার হোসেন জানান, আগের তুলনায় দিনের পর দিন বাড়ছে লোকসানের পরিমাণ। এক সময় চাতালে ধানের ব্যবসা করে অনেক লাভ হতো। এখন লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না তারা। তাই শ্রমিকদের ন্যায্য পারিশ্রমিক দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। অনেক শ্রমিক মজুরি না পেয়ে অন্যত্রও চলে গেছেন।

রাজৈরের চাতাল মালিক মনির বেপারী বলেন, ‘ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ, শ্রমিকদের পাওনা দিতে পারছি না। যদি আমাদের ব্যবসা ভাল হতো তাহলে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো যেত। ভারত থেকে চাল আমদানি করায় আমাদের কোনো লাভ হচ্ছে না।’

এ ব্যাপারে জেলা মহিলা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন লাকী বলেন, ধানের চাতালে নারী শ্রমিকরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করেন। কিন্তু সেই অনুযায়ী তারা ন্যায্য মজুরি পান না। সরকারের কাছে আমি আবেদন করব তাদের জন্য একটা মজুরি কাঠামো গঠন করার জন্য ।