গোয়ালন্দে নির্মিত হচ্ছে আধুনিক আশ্রয়কেন্দ্র

প্রকাশিত: ১:৩৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমানের (পিপিএম)।পাশাপাশি তিনি সেবামূলক সংগঠন ‘উত্তরন ফাউন্ডেশন’ এর চেয়ারম্যান। এ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ২৫০ অসহায় নারী ও শিশুদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের উত্তর চরপাঁচুরিয়া এলাকায় প্রায় ৪০ শতাংশ জায়গার উপর এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে সেখানে মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। শীঘ্রই শুরু হবে স্থাপনা নির্মাণের কাজ। শনিবার বেলা ১১ টার দিকে আশ্রয়কেন্দ্রের স্থান পরিদর্শনে আসেন ডিআইজি হাবিব।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমি এ অঞ্চলেরই সন্তান। তাই এ এলাকার অসহায় মানুষের জন্য ভালো কিছু করার ইচ্ছে আমার বহুদিনের। উত্তরন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অসহায় নারী, শিশু, যৌনকর্মী, বেঁদে সম্প্রদায়সহ অবহেলিতদের জন্য নানা কর্মসূচি চলমান রয়েছে। এর অংশ হিসেবে আমি আমার ফাউন্ডেশনের পক্ষ হতে এখানে এ আশ্রয় কেন্দ্রটি নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছি।এখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এ এলাকার অসহায় নারী ও শিশুরা থাকা-খাওয়ার সুযোগ পাবে।

শিশুদের পড়ালেখা ও স্বাভাবিক বিকাশেরও ব্যবস্থা থাকবে এখানে। তিনি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় তিনি সেখানে কয়েকটি গাছের চারা রোপন করেন। এর আগে আশ্রয়কেন্দ্রস্থলে পৌছালে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর সহ অন্যান্যরা ডিআইজিকে ফুলের তোরা দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান (পিপিএম), সহকারী পুলিশ সুপার শেখ শরিফুজ্জামান, গোয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল তায়াবীর, দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুল ইসলাম, দৌলতদিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান আঃ রহমান মন্ডল, স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান মোস্তফা মেটাল ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ এর পরিচালক মোঃ সেলিম মুন্সি, দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর অসহায় নারী ও শিশু ঐক্য সংগঠনের সভাপতি ঝুমুর বেগম প্রমূখ।

এ প্রসঙ্গে অসহায় নারী ও শিশু ঐক্য কল্যান সমিতির সভাপতি ঝুমুর বেগম বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে শত শত শিশু অস্বাভাবিক পরিবেশে বেড়ে উঠছে। পাশাপাশি বহু বয়ষ্ক নারী এখানে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এদের জন্য সরকারি ভাবে নেই কোন উদ্যোগ। ডিআইজি স্যারের এ মহতি উদ্যোগ এ সকল অসহায় নারী ও শিশুদের ভালোভাবে বেঁচে থাকার পাশাপাশি আলোর পথ দেখাবে। আমি ডিআইজি স্যারের প্রতি গবীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম বলেন, ডিআইজি হাবিবুর রহমানের মত একজন মানুষ আমাদের অবহেলিত এ প্রত্যন্ত এলাকায় যে কল্যানমূলক উদ্যোগটি গ্রহন করেছেন তার জন্য ইউনিয়নবাসীর পক্ষ হতে আমরা তাকে সাধুবাদ জানাই।