মাদারীপুরের ৬ ওয়ার্ড ও ৪ ইউনিয়নকে রেড জোন ঘোষণা

প্রকাশিত: ৮:১৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার ৬টি ওয়ার্ড ও ৪টি ইউনিয়নকে রেড জোন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। যা বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে কার্যকর হবে। মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুর পৌরসভায় এক জরুরী বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এর আগে আজ সকালে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কালকিনি পৌরসভার ৬টি ওয়ার্ড ও ৪টি ইউনিয়নকে রেড জোন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। রেড জোন এলাকা চিহ্নিত করে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কালকিনি উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তি জারী করেন। বুধবার থেকে জোন ভিত্তিক লকডাউন শুরু হচ্ছে।

মাদারীপুরের শিবচরে বুধবার থেকে জোন ভিত্তিক লকডাউন শুরু হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমন অনুসারে স্বাস্থ্য বিভাগ রেডজোনে পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ডসহ ৯ ইউনিয়ন ঘোষণা করেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতা মানার আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খান।

এদিকে দুপুরে মাদারীপুর পৌর ভবনে এক জরুরী সভার আয়োজন করা হয়। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আজহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে জেলার ৪টি পৌরসভার ২০টি ওয়ার্ড, ৪টি উপজেলার ২২টি ইউনিয়নকে রেনজোন ঘোষণা করেন সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম। পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে রেডজোন এলাকায় লকডাউন বাস্থবায়নের। এসব এলাকায় চালু থাকবে জরুরী সেবা।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম জানান, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখার লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে, ভোর ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত কাঁচামালের দোকান, দুপুর ২টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনী জিনিসপত্রের দোকান খোলা থাকবে। এছাড়া জরুরী সেবা চালু থাকবে ২৪ ঘন্টা। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, মাদারীপুর জেলায় এখন পর্যন্ত ৩শ’ ৭৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১শ’ ১৯জন। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২শ’ ২৭জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭ জন।