রায়পুরায় বাস-পিকআপের সংঘর্ষে নিহত ৩ আহত ১০

প্রকাশিত: ৫:১৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : নরসিংদীর রায়পুরায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুই যাত্রিবাহী বাস এবং পিকআপের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ২ জন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরোও একজনসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।

সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার নিলকুঠি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ধর্মতীর্থ দিঘীরপাড়া গ্রামের ধনঞ্জয় চন্দ্র দাশের ছেলে সানন্দ দাস (৫৫) একই উপজেলার চৌরাগুধা গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে মো. রেনু মিয়া (৬৬) ও চৌরাগুধা গ্রামের কালাম মিয়ার ছেলে মো. কামাল মিয়া(৩৫)। কামালকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে নরসিংদী এলাকায় মারা যান।

কালিকচ্ছ ইউপি সদস্য মো সাইদুর রহমান মেম্বার জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা নেয়ার পথে নরসিংদী এলাকায় মো কামাল মিয়া (৩৫) মারা গেছে। স্বজনরা লাশ বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে।

আহতরা হলেন পিকাপচালক আবদুল জলিল (৫৫), সহকারী মো. মাহমুদ আলী (৩৩), ধর্মতীর্থ গ্রামের কেশব দাশ (২৫), সুধাংশো দাশ (৪৫), সবুজ মিয়া (৩৩)। তারা সকলে একই উপজেলার বাসিন্দা ও পেশায় মাছ ব্যবসায়ী।

হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোরে রায়পুরা উপজেলার নীলকুঠি এলাকায় একটি বিআরটিসি বাসের চাকা পাঙচার হয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এমন সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা হবিগঞ্জগামী লাকী এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি যাত্রিবাহী বাস বিআরটিসি বাসটিকে পাশ কাটাতে যায়। অপরদিকে একই সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মাছভর্তি একটি পিকআপ নীলকুঠি এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপটির সামনের অংশ কিছুটা দুমড়ে মুচড়ে যায়।

খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ ও ভৈরব ফায়ার সার্ভিস টিম ঘটনাস্থলে এসে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে এবং আহতদের আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়।

নীলকুঠি এলাকার ব্যবসায়ী কালাম মিয়া জানান, রাত সাড়ে তিনটার সময় হঠাৎ শব্দ শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে দুইজন নিহত হন। স্থানীয় ও পুলিশের সহায়তা চাপা পরে আটকে থাকা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাসের চালক ও সহকারী ঘটনার পর পালিয়ে যায়।

ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান, নিহতদের মরদেহ এখনো ভৈরব হাইওয়ে থানায় আছে। গাড়ি তিনটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।