অস্থির কাঁচা বাজারে স্বস্তির হাওয়া

প্রকাশিত: ৪:৫৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক ; সপ্তার ব্যবধানে বাজারের অস্থিরতা এখন প্রায় স্বাভাবিক। যত দ্রুত কাঁচামরিচ, ডিম, বয়লার মুরগির দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল. তত দ্রুতই আবার কেম এসেছে এসব পণ্যের দাম। তবে মাছের বাজারে রুই, কাতল কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া সবজির বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করলেও তা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।

শনিবার রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার, মাস্টারপাড়া, শালবাগান, তেরোখাদিয়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে, আলু কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে, পটল প্রতিকেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, করলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে, পেঁপে ১৫ থেকে ২০ টাকা, আকার ভেদে লাউ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে,ফুলকপি প্রতিকেজি ৫০ টাকা ,সিম প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি,মূলা বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা দরে , ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।

এছাড়া, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা , কঁচু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, চাল কুমড়া আকারভেদে প্রতি পিস ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ঝিঙ্গা ৪০ টাকা, পুঁইশাক শাক প্রতিআটিঁ ১৫ টাকা দরে, কলমি শাক ২০ টাকা কেজি ,লালশাক ও সবুজ শাক প্রতি আটিঁ ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কাঁচা কলা প্রতিহালি ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে, লেবু প্রতিহালি বিক্রি হয়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা, দেশি শসা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা ও হাইব্রিড শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে, গাজর প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা দরে।

পেঁয়াজ প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে। দেশি রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা ও চায়না রসুন ১২০ টাকা কেজি দরে। আদা প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা দরে।

বাজারে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে দাম বেশি হলেও বেচাকেনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ব্যবসায়ী তুজাম আলী বলেন,বাজারে সিম ,পাতাকপি,ফুলকপি উঠেছে। মাঠ পর্যায় থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত অন্যান্য সবজির তুলনায় দাম বেশি নতুন সবজির। অল্প পরিমাণে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে তাই ক্রেতারা আগ্রহ নিয়ে দামাদামি করছেন ও কিনছেন ।

মাছের বাজারে প্রতিকেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে আড়াই কেজি ওজনের রুই মাছ বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে, কাতল প্রতিকেজি ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে , সিলভার কাপ ২৫০ টাকা কেজি দরে, পাঙ্গাস বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে, তেলাপিয়া ২২০ টাকা দরে, শিং মাছ ৫০০ টাকা কেজি, ট্যাংরা প্রতিকেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে,পাবদা প্রতিকেজি ৫০০ টাকা এবং ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আব্দুর রহমান নামের এক ব্যাং কর্মকর্তা সাহেববাজারে এসেছেন মাছ কিনতে। তিনি বলেন , রুই মাছে ও শিং মাছ কিনেছি শিং মাছের দাম ঠিকঠাক থাকলেও রুইমাছের দাম আজ বেশি মনে হয়েছে। ২ কেজির ওপরের রুইমাছ কিনতে হলো ৩৬০ টাকা কেজিতে। মুরগির দাম বাড়ার পরপরই মাছের দামটাও বেড়েছে। বড় রুই ২৮০ টাকা ছিল এখন সেই রুই ৩৫০-৩৬০ কেজি । নদীর মাছের তো আরো দাম।

বাজারে মাংসের বাজারে গরুর মাংস প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৬৫০ থেকে ৬৮০ ও খাসির মাংস প্রতিকেজি ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকা কেজি দরে। সোনালী মুরগি প্রতিকেজি ২৭০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা দরে।

এছাড়া, সাদা ডিম হালি ৩৪ ও লাল ডিম হালি ৩৬ টাকা। ডিমের মতো চালের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। চালের বাজারে মিনিকেট প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭২ টাকা দরে, আঠাশ প্রতিকেজি ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, সুমন শরণা ৫৫ টাকা, জিরাশাল ৭০, বাশমতি ৮০ থেকে ৮৫, কাটারিভোগ ৮০, পোলাও ১২০ টাকাসহ সর্বনিম্নে দরে মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা কেজি দরে।