বিরামপুরে রেললাইনই যেন বিনোদন পার্ক, ঘটতে পারে দুর্ঘটনা

প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : দিনাজপুর জেলার বিরামপুর পৌর এলাকায় কোনো বিনোদন পার্ক ও অবসর সময় কাটানোর জায়গা না থাকায় বিকেল হলে রেললাইনে বাড়ে মানুষের আড্ডা। মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে আসা মানুষের পদচারণায় মুখর রেললাইনে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

জানা গেছে, বিরামপুর শহরে কোনো বিনোদন কেন্দ্র নেই। ১৯৯৫ সালে বিরামপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত ও প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হলেও বিনোদনের কোনো জায়গা করা হয়নি। ফলে শহরের ইট-পাথরের সান্নিধ্যে আবদ্ধ থেকে হাঁপিয়ে ওঠা লোকজন একটু মুক্ত বাতাসের জন্য বিকেল হলেই ছুটে যায় রেললাইনে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ লাইনের উপর হেঁটে বেড়িয়ে এবং গল্প আড্ডায় অবসর সময় অতিবাহিত করেন। আর এভাবেই ব্যস্ত থাকে বিরামপুর স্টেশন থেকে দক্ষিণ দিকে পলাবাড়ি রেলগেট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রেললাইন। এই লাইন দিয়ে বিকেলে ৬ থেকে ৮টি ট্রেন চলাচল করে থাকে। এ কারণে যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা। লাইনে ঘুরতে আসা পুরাতন বাজারের আশরাফুল ইসলাম বলেন, শহরের গুমোট পরিবেশ থেকে স্বস্তির আশায় তিনি মুক্ত বাতাসে অবসর সময় কাটানোর জন্য প্রায়ই এই রেললাইনে আসেন।

বিরামপুর মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মেসবাউল হক জানান, বিরামপুর একটি প্রস্তাবিত জেলা শহর। এখানে দিন দিন মানুষের বাড়িঘর বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিটি পরিবারে ছোট-বড় সকলের বিনোদনের জন্য একটু খোলামেলা পরিবেশে চলাচলের জন্য স্থায়ী পার্ক প্রয়োজন আছে। তাই বিরামপুরের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গের নিকট আবেদন বিনোদনের জন্য নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় পার্কের ব্যবস্থা করা হোক।

বিরামপুর পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আককাস আলী জানান, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর বিগত দিনে পৌরসভা থেকে পার্ক নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি। বর্তমানে তিনি পার্ক নির্মাণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং এডিবির নিকট প্রকল্প জমা দিয়েছেন। এখন অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে পৌর সভার উদ্যোগে পার্ক তৈরি করা হবে।

বিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজু জানান, মানুষের আনন্দ বিনোদনের জন্য তিনি নিজ অর্থায়নে ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের সাথে বিরামপুরের মির্জাপুর নামক স্থানে ৩৬ বিঘা জমির ওপর একোয়া থিম পার্ক নামে একটি বিনোদন কেন্দ্র তৈরি করেছেন। এই বিনোদন কেন্দ্রটি শিগগির উদ্বোধন করে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।