ভূয়া পুলিশসহ ৬ ডাকাত আটক

প্রকাশিত: ৬:০৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাভারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পোশাক পরিহিত ভূয়া পুলিশসহ ছয় ডাকাতকে আটক করেছে র‌্যাব-৪। শুক্রবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র‌্যাব-৪।

বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে দিবাগত রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সাভার থানাধীন রাজাশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- ডাকাত সরদার মো. শামীম রেজা (৩০), মো. হেলাল উদ্দিন (৩৫), মো. পারভেজ (২৫), ওয়াসিম ইসলাম (২৫), মো. নাইম খান (২৭) ও মো. ফেরদৌস আহমেদ রাজু (২৯)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ঢাকার সাভার মডেল থানাধীন রাজাশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির উদ্দেশ্যে গোপন মিটিং করার সময় ছয় ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের নিকট থেকে একটি পিস্তল, এক রাউন্ড গুলি, একটি নকল পিস্তল, একটি পিস্তল টাইপ লাইটার, একটি কভারসহ হ্যান্ডকাফ, একটি ওয়াকিটকি, দুই সেট পুলিশের ইউনিফর্ম, পুলিশ জ্যাকেট, পুলিশ বেল্ট, ভূয়া পুলিশ আইডি কার্ড, দুটি রামদা, একটি ডেগার, একটি চাপাতি, দুটি ছুড়ি, দুটি টর্চলাইট, দুটি রশি, ৪৬৭টি ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩০ বোতল ফেন্সিডিল, দেড় কেজি গাঁজা, সাত গ্রাম হেরোইন, পাঁচ লিটার চোলাই মদ, ১৯টি মোবাইল এবং নগদ ৪৪ হাজার ৫৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-৪ আরও জানায়, আটককৃত ডাকাত সরদার মো. শামীম রেজা কিশোর বয়স থেকেই অপরাধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহী। সে গ্রামের একটি স্থানীয় স্কুল থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ২০০৫ সালে ঢাকায় এসে সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে এবং মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে সে একটি ডাকাত বাহিনী গড়ে তুলে। সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রটি রাতের আধারে পুলিশের ভূয়া ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় টর্চ লাইট দিয়ে গাড়ি থামিয়ে টাকা-পয়সা, স্বর্ণ-অলংকার, মোবাইল এবং দামি জিনিসপত্র লুটপাট করতো।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ডাকাত সরদার শামীম রেজা ২৫-৩০টি অটো রিকশা ও সিএনজির মালিক। তার নামে অস্ত্র, মাদক ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে নিজেকে পুলিশ বাহিনীর একজন সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে পরিচয় দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, দেশিয় অস্ত্র, নকল আগ্নেয়াস্ত্র, নকল আইডি কার্ড, ইউনিফর্ম, ওয়াকি টকি সেট ব্যবহার করে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি করতো।

সাভার এলাকায় সে একটি সক্রিয় ডাকাত বাহিনী ও মাদক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। সে বিভিন্ন সময়ে ভূয়া পুলিশ অফিসার সেজে তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা ও বানোয়াট ভাবে ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করতো।

র‌্যাব-৪ সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খাঁন বলেন, আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি, অস্ত্র, ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা এবং মাদক মামলা প্রক্রিয়াধীন। তাদের বিরুদ্ধে সাভারসহ বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।