পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়া ফেরি থেকে ১২টি ট্রাক উদ্ধার

প্রকাশিত: ২:৫৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া পাঁচ নম্বর ঘাটে ডুবে যাওয়া রো রো ফেরি আমানত শাহ উদ্ধারে আসছে না শক্তিশালী উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। তবে রুস্তম নামের অন্য আরেকটি জাহাজ আসবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর একে গোলাম সাদিক।

শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১০টায় পাটুরিয়া পাঁচ নম্বর ঘাটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পাটুরিয়া ঘাটে তৃতীয় দিনের মতো সকাল সাতটায় উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা। তাদের সঙ্গে উদ্ধার অভিযানে ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড এবং বিআইডাব্লিউটিএ এর ডুবুরি দলের সদস্যরা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, প্রত্যয় অনেক বড় জাহাজ। এখানে প্রত্যয় রাখার জাগয়া নেই। তাই প্রত্যয়ের পরিবর্তে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম সন্ধ্যার মধ্যে পাটুরিয়ায় পৌঁছাবে।

এদিকে সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ডুবে যাওয়া ফেরি থেকে এ পযন্ত ১১টি কাভার্টভ্যান উদ্ধার করা হয়েছে। আরো ৩টি ট্রাক এবং কয়েকটি মোটরসাইকেল রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল অধ্যাদেশ অনুযায়ী, একটি নৌযানের নিবন্ধনের মেয়াদ ৩০ বছর হয়। বিশেষ জরিপের (ফিটনেস) মাধ্যমে এরপর দুবার পাঁচ বছর করে নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়ানো যায়। তবে ৪০ বছরের বেশি সময় কোনোভাবেই কোনো নৌযান চলাচল করতে পারে না।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) নৌযানের তালিকা অনুযায়ী, ফেরি আমানত শাহ ১৯৮০ সালে তৈরি। ৩৩৫ জন যাত্রী ও ২৫টি যানবাহন বহন করতে পারে এটি। ৮০৬.৬০ টন ওজনের ফেরিটি সর্বোচ্চ ১০.২৫ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলতে পারে।

গত বুধবার সকালে দৌলতদিয়া থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার পর ফেরিতে পানি উঠতে শুরু করে। পরে ফেরিটি দ্রুত গতিতে পাটুরিয়া ঘাটে নোঙর করে। এরপর ফেরি থেকে তিনটি মালবাহী ট্রাক আনলোড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেরিটি ডান পাশে কাত হয়ে অর্ধেক ডুবে যায়। এ সময় আমানত শাহ ফেরিতে ১৪টি ট্রাক ও কিছু মোটরসাইকেল ছিল।