হাঁসের খামারেই চলে দুই বন্ধুর সংসার

প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শান্তিপুর গ্রামের সালাম-কালামের সংসার এখন চলে হাঁসের খামারেই। তাদের খামারে এখন হাঁসের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। খামার থেকে খরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিনি চার হাজার টাকার বেশি আয় হয়।
সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার শান্তিপুর-শ্রীপতিপাড়া পাকা সড়কের ধারে অস্থায়ী তাবু বানিয়ে এই খামার তৈরি করেছেন তারা। প্রতিদিনি ভোর থেকে রাত পর্যন্ত খামারের পেছনেই ব্যস্ত সময় পার করেন তারা।

খামারের মালিক আব্দুস সালাম জানান, তাদের খামারে প্রতিদিন প্রায় ১২০০ থেকে ১৩০০ হাঁসে ডিম পাড়ে, যার বাজার মূল্য ১২ হাজার টাকার বেশি। তবে তাদের এই খামারে প্রতিদিন প্রায় সাত থেকে আট হাজার টাকা খরচ হয় বলে তিনি জানান।

অপর বন্ধু কালাম সরদার জানান, গত মার্চ মাসে পাবনা থেকে এক দিন বয়সী ২৫০০ কেম্বেল হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করে তারা। প্রতিটি বাচ্চার দাম দিতে হয়েছে ৩৫ টাকা। এতে শুরুতেই লক্ষাধিক টাকা খরচ করতে হয়েছে তাদের। কিন্তু হাঁসের বয়স ৫ মাস হওয়ার পর থেকে ডিম দেয়া শুরু হয়েছে।

সালামের প্রতিবেশি শান্তিপুর গ্রামের আফাজ শেখ জানান, এক সময় দুই বুন্ধু কালাম ও সালাম অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। এই হাঁসের খামার করে বর্তমানে তাদের সংসারে স্বচ্ছতা এসেছে। তাদের আর অন্যের বাড়িতে কাজ করতে হয় না।

যোগীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন জানান, সালাম-কালামের এই উদ্যোগ দেখে এলাকার অনেকেই হাঁস পালনে উৎসাহিত হচ্ছে। তিনি তাদের এই উদ্যোগকে এলাকার অন্য যুবকদের জন্য উদাহরণ বলে উল্লেখ করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এস.এম. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি শান্তিপুর গ্রামের সালাম-কালামের হাঁসের খামারের কথা শুনেছি। এটি খুব ভাল উদ্যোগ, যা উপজেলার অন্যান্য যুবকদের হাঁসের খামার তৈরিতে উৎসাহিত করবে। আমরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকসহ খামারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছি। সেই সাথে খামারীদের সাথে সর্বদা যোগাযোগ রাখা হয়। কোন সমস্যা হলে খামারীরাও প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগযোগ করেন। সে মোতাবেক দ্রুত খামারীদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে বলে তিনি জানান।