দিগন্ত জুড়ে সবুজের মাঝে উঁকি দিচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন

প্রকাশিত: ৪:৩৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : নীলফামারীর জলঢাকায় শরতের তালপাকা গরম ও হালকা হাওয়ায় দোল খাচ্ছে দিগন্ত জুড়ে সবুজ আমন ধানের ক্ষেত।উপজেলায় এবারের মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিগত বছরগুলোতে আমন মৌসুমে প্রবল বৃষ্টি আর বন্যার সঙ্গে লড়াই করে আমন ধান চাষ করলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। মৌসুমের শুরুতে বন্যার প্রভাব পড়েনি। চারা রোপণের পর পরই দফায় দফায় বৃষ্টি আর রোপণকৃত ধানের চারা কৃষকের নিবিড় পরিচর্যায় দ্রুত বেড়ে ওঠছে। তাই সবুজে ছেয়ে গেছে ধানের ক্ষেত। আর দিগন্ত জুড়ে সবুজের মাঝেই উঁকি দিচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন।

কৃষকরা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর বৃষ্টিপাতের হার কম হওয়ায় ক্ষেতে সেচ দিয়ে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। এখন অবশ্য দুই/একদিন পর বৃষ্টি হচ্ছে। ক্ষেতের অবস্থা আপাতত ভালোই দেখা যাচ্ছে।

উপজেলার কৈমারী ইউপির গাবরোল হাজীপাড়া গ্রামের কৃষক মমিনুর রহমান বলেন, আমরা কৃষি অফিসের পরামর্শে আমন ধানের বীজ বপন ও চারা রোপণ করেছি। চার বিঘা জমিতে এবার ধান লাগার সময় তেমন বৃষ্টি হয়নি। আশা করি বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার বেশি ফসল ঘরে তুলতে পারবো।

দোলাপাড়া গ্রামের কৃষক কালিপদ রায় বলেন, এবার তিন বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছি। আমি নিজেই ক্ষেতের পরিচর্যা করি। পাশাপাশি কিছু শ্রমিক নেওয়া লাগে। এ বছর আবহাওয়া আমাদের অনুকূলে থাকায় ধান ক্ষেতের চেহারা যথেষ্ট ভালো। আশা করছি, ফলনও ভালো হবে।

উপজেলার ডাউয়াবারী ইউনিয়নের নেকবক্ত গ্রামের কৃষক মোলায়েম বলেন, পাঁচ বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছি। এবার ভালো লাভের আশা আছে। এ বছর ধান চাষে আমার বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকা। আশা করছি, বিঘা প্রতি ১৫-২০ মণ করে ধান পাব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, জলঢাকায় এবার চলতি রোপা আমন মৌসুমে আট হাজার নয়শ ৭০ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে। তার মধ্যে হাইব্রিড তিন হাজার দুইশ হেক্টর, উফশি দুই হাজার সাতশ হেক্টর ও দেশি জাতের তিন হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। যা শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হবে।

তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় ক্ষেতের অবস্থা বেশ ভলো। ফলে এবার ধানের ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ধানের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে- কৃষকরা এবার লাভবান হবে।