ফুলবাড়ীতে শীলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি: পানিতে ডুবে গেছে ধান

প্রকাশিত: ৫:২১ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সুপার সাইক্লোন আম্ফান পরবর্তী মধ্য জৈষ্ঠের ঝড় ও শীলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার নাওডাঙ্গা, শিমুলবাড়ী ও ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নে ব্যাপক শীলাবৃষ্টি হয়। শীলাবৃষ্টিতে ক্ষেতের পাট, পাকা ধান, সবজিসহ সবধরণের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষেতেই ঝরে গেছে পাকা ধান। জমিতে নুইয়ে পড়েছে অনেক ধান ক্ষেত। ফসল ঘরে উঠার শেষ মহুর্তে এ ক্ষতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক।

নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক তৈয়ব আলী, রহিম, তপন চন্দ্র জানান, শীলাবৃষ্টিতে তাদের পাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একই ইউনিয়নের কৃষক সুরেশ, আলম ও শফি বলেন, শীলাবৃষ্টিতে তাদের ক্ষেতের পাকা ধান ঝড়ে গেছে। ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের কৃষক কার্তিক চন্দ্র সরকার জানান, শীলাবৃষ্টিতে তার তিন বিঘা ক্ষেতের পাকা ধান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এছাড়া গত সাত দিনের ব্যাপক বৃষ্টিপাতে ডুবে গেছে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের চলতি মৌসুমের উঠতি ইরি-বোরো ধান, পাট, ভুট্রাসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি। বৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়ার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এসব ফসলের। কোথাও হেলে পড়েছে ধান আবার কোথাও নষ্ট হয়েছে ভুট্রাসহ সবজি। ইতিমধ্যে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে মাঠের কাচা পাকা ইরি -বোরো ধান। কৃষক কিছু ধান কাটলেও বৃষ্টির কারণে মারাই করতে পারছে না। এসব ধান দীর্ঘদিন বৃষ্টিতে থাকায় কৃষকের উঠানেই নষ্ট হয়ে যাবার উপক্রম।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্র জানায়, গত ২০ মে রাত থেকে ২৬ মে বিকাল পর্যন্ত ৭ দিনের গড় বৃষ্টিপাত ৩০ দশমিক ৯৭ মিলিমিটার। এছাড়া জেলার কিছু কিছু উপজেলায় বৃষ্টিপাতের হার ছিলো অনেক বেশী। এর সাথে ছিলো ঝড়ো হাওয়া।

ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশীদ জানান, ঝড়োবাতাস ও শীলাবৃষ্টিতে ৬০ হেক্টর জমির পাট ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। সেই সাথে ধানক্ষেতও ক্ষতি হয়েছে। তবে এক্ষতি পুশিয়ে উঠবে। এরমধ্যে দ্রুত পানি নেমে গেলে ধানের তেমন ক্ষতি হবে না। আকাশ ভালো হওয়ার সাথে সাথেই কৃষকদেরকে পাকা ধান কাটার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান উপজেলায় এবার ১০ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে ইরি বোরো ধান। যা ১১ মে থেকে কাটা শুরু হলেও এখন পর্যন্ত ৭০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। বাকি রয়েছে ৩০ ভাগ ধান। এসবে মধ্যে বেশির ভাগ রয়েছে বিআর ২৯ এবং কিছু উচ্চ ফলনশীল ধান। পাটের আবাদ হয়েছে ৮২০ হেক্টও জমিতে।