যুবকের পরিচয় শনাক্ত, পাওনা টাকা চাওয়ায় বন্ধুদের হাতে খুন

প্রকাশিত: ১১:২০ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় খুন হওয়া অজ্ঞাত যুবকের পরিচয় শনাক্তসহ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ মে) রাতে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তারা সবাই একে অপরের বন্ধু। তাদের বাড়িও একই জেলায় বলে জানা গেছে।

উদ্ধারকৃত মরদেহটি পাবনা জেলার বেড়া থানার মঞ্জু মিয়ার ছেলে আল-আমিনের (২০)। তিনি গ্রেফতারকৃতদের বন্ধু ছিলেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পাবনা জেলার সাথিয়া থানার ধুলাউড়ি গ্রামের মাহাতাব ব্যাপারীর ছেলে সোহেল (২২), একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুল আলীম (১৭) ও আব্দুল খালেকের ছেলে জিহাদ। পেশায় তারা সবাই দিনমজুর।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজর আলী জানান, নিহতের মোবাইলের অবস্থান শনাক্ত করে তদন্ত কাজ শুরু করা হয়। মোবাইলের অবস্থান অনুযায়ী গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকার একটি দোকানে মোবাইল বিক্রি করতে গেলে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সবাই একে অপরের বন্ধু। এর মধ্যে সোহেল নিহত আল-আমিনের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৯০ হাজার টাকা ধার নেয়। পরে চাকরি ও টাকা কিছুই না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকলে আল-আমিন টাকার জন্য বন্ধু সোহেলকে চাপ দেয় এবং অপমান অপদস্ত করে। এ ঘটনায় সোহেল অপমানিত হয়ে গ্রেফতারকৃত তিন বন্ধুকে নিয়ে আল-আমিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা আশুলিয়ার কাঠগড়া পুকুরপাড় এলাকার শামসুন্নাহারের বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নেয়। সেখানেই গত ২২ মে রাতে তিন বন্ধু মিলে আল-আমিনকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

এর আগে গত ২৩ মে রাত ১ টার দিকে আশুলিয়ার কাঠগড়ার পুকুরপাড়ের ওই বাড়ি থেকে আল-আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ মে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নেয় সোহেল নামের ওই যুবক। পরে ২৩ মে সকাল থেকে ঘরের দরজায় তালা ঝুলতে দেখেন বাড়িওয়ালা। রাতে ঘর থেকে পঁচা গন্ধ বের হলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে রাত ১টার দিকে আশুলিয়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।