থমথমে অবস্থা কোম্পানীগঞ্জ, কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

প্রকাশিত: ৪:৩৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১

সময় সংবাদ ডেস্কঃনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির মধ্যে রূপালী চত্বরে শোকসভার ব্যানার টানিয়ে মির্জার অনুসারীরা জড়ো হচ্ছে। এনিয়ে উপজেলা সদরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

সকাল থেকে বসুরহাট বাজারে অনেকটা অঘোষিত হরতাল চলছে। বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ দোকানপাট। বিভিন্ন সড়কে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বসুরহাট পৌর এলাকার গাছের গুড়ি, ইট পাটকেল দিয়ে বিভিন্ন পবেশ পথ আটকে রাখা হয়েছে।

এর আগে একই স্থানে আওয়ামী লীগের বিবাধমান দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ঘোষণাকে ঘিরে বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক মীর স্বাক্ষরিত এক আদেশে জানানো হয়, সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পৌরসভার সর্বত্র এ আদেশ কার্যকর থাকবে। এ সময় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, র‌্যালি, গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি একসাথে চারজনের অধিক ব্যক্তি জমায়েত হবে পারবে না বলে আদেশে জানানো হয়।

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসে জানান, কাউকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে দেওয়া হবে না। কোথাও সরকারি আদেশ অমান্য করে সভা-সমাবেশ করার চেষ্টা হলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোরতা প্রদর্শনে বাধ্য হবে।

এ বিষয়ে জানতে আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার সহকারি সিরাজুল ইসলাম জানান, আবদুল কাদের মির্জা উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে বিশ্রাম নিচ্ছেন। অন্যদিকে মিজানুর রহমান বাদলকে ফোন করলে তার মেয়ে ফোন রিসিভ করে পরে ফোন ব্যাক করবেন বলে জানান।

এর আগে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার বিচারের দাবিতে সোমবার বেলা আড়াইটায় বসুরহাট পৌর সভার রূপালী চত্বরে শোক সভা আহবান করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

একই স্থানে বিকেল তিনটায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ে রাখেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। গত শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সহ দলের কেন্দ্রিয় নেতাদেরকে নিয়ে আবদুল কাদের মির্জার মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সোমবারের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাদল।