গৌরীপুরে নদী গর্ভে বিলীন অর্ধ শতাধিক ঘরবাড়ি ও ফসলী জমি

প্রকাশিত: ১২:১৬ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০

কমল সরকার,গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়নমসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরিয়া নদীতে বৃষ্টির পানিসহ উজানের বয়ে আসা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সুরিয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারও নদী ভাঙনের কবলে কুমড়ী গ্রামের অর্ধশত পরিবার ।নদী খনন না হওয়ার ফলে নদীর গতিপথ হারাচ্ছে।

এতে বিপর্যয় ঘটছে পরিবেশের ও বিনষ্ট হচ্ছে জীব-বৈচিত্র্য’র। গত বছরে বসত বাড়ি ও অনেক ফসলি জমি রাস্তাসহ এই নদীর ভাঙনে বিলিন হয়ে গেছে। এ বছরেও সুরিয়া নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘর বাড়ি। স্থানীয়রা মনে করছেন নদী ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে কয়েকশ একর আবাদি জমি ও ভিটেহীন হয়ে পড়বে প্রায় অর্ধ শতাধিক পরিবার।

১০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরিয়া নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে উল্লেখিত কুমড়ী গ্রামের ফসলি জমি, বসতভিটা, এ ছাড়া উল্লেখিত ইউনিয়ের নয়ানগর গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঈদগাহ মাঠ, বসতবাড়ি ও কুমড়ী গ্রামের পশ্চিম পাড়ার রাস্তাসহ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে কয়েক একর আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ।

কুমড়ী গ্রামের নদীর পাড়ের বাসিন্ধা শামীম,সুমন,শামছুল আলম,আবুল হাসেম , সাইফুল ইসলাম, রমজান, মজিদ, আব্দুল্লাহ, আল আমিন, কাশেম,এখলাছ মিয়া,কামরুল সিরাজ,লিটন,মিরাজ,ইদ্রিস, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত আব্দুল কাদির, মাওহা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মতিউর রহমান (এন্টেশ মিয়া) সহ আরও নাম না জানা অনেক পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নদীর পারে দিন যাপন করছে।। কুমড়ী গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য মোঃ মতিউর রহমান (এন্টেশ মিয়া) জানান আমার আবাদি জমি সুরিয়া নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।এমনকি আমার বসত ঘরটি অর্ধেকের বেশী নদী গর্ভে চলে গেছে তাই ঘরটি তাড়াতাড়ি সরিয়ে অন্য জায়গায় বাড়ি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাড়ির জায়গাটুকু নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ওই গ্রামের অন্য কয়েক জন বাসিন্ধা শামীম, রতন,সুমন, জানান সুরিয়া নদীর পাড়ে আমরা অর্ধ শতাধিক পরিবারের বসবাস আমাদের ফসলী জমি যা ছিল এই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে এখন বাড়িটিও নদীতে ভেঙ্গে যাওয়ার পথে। আমাদের মত অনেকের ফসলী জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। ,যদি নদী ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে ফসলি জমি বাড়ি ঘর, বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে ।

স্থানীয়রা জানান যে জায়গায় নদীটি বাক দিয়েছে সেই জায়গায় যদি ১০০ ফুটের মতো কেটে দিত তাহলে আমারা এ ভাঙ্গন থেকে রক্ষা পেতে পারতাম।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুসা’র মোবাইল ফোনে মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি জানান জিপিপি তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে প্রস্তাব আকারে পাঠানো হয়েছে অনুমোদন পেলে নদী ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।