হালুয়াঘাটে এক সন্তানের জননীর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ৮:৫৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২০

এম.এ খালেক , হালুয়াঘাট(ময়মনসিংহ)ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে মাজেদা খাতুন (২৬) নামের এক সন্তানের জননী ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হালুয়াঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের ২০০ গজ দক্ষিণে উত্তর মনিকুড়া গ্রামে আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যার কারণ জানাযায়নি।

স্থানীয়রা ও নিহতের দেবর আসিফ ইসলাম সাংবাদিকদের জানায়, প্রায় দশ বছর পূর্বে উত্তর মনিকুড়া গ্রামের জহিরুল ইসলাম (ভুট্রো) এর পুত্র রফিকুল ইসলাম ফরিদপুর জেলার সোনাপুর থানার সেকান্দর আলীর কন্যা মাজেদা খাতুনকে ইসলামী শরিয়ত মতে নিকাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাদের সংসার জীবন সূখের ছিল। সংসার জীবনে রিয়াদ (৫) নামের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। ঘটনার দিন সকালে রান্না ভাড়া শেষে বাড়ির সকলকে নিয়ে এক সাথে খাওয়া দাওয়া শেষ করেন মাজেদা। পরে লোক চক্ষুর অন্তরালে নিজেদের বসত ঘরে ধরনার সাথে রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। বাড়ির লোকজন দীর্ঘ সময় মাজেদাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখোজি করেন। পরে নিজ ঘরে ফাঁসিতে ঝুলে থাকতে দেখতে পায়।


আসিফ ইসলাম আরো জানান, তার ভাই রফিকুল ইসলাম ঢাকায় একটি গার্মেন্টস কোম্পানীতে আইরনম্যানের চাকরি করেন। সম্প্রতি বাড়িতে বেড়াতে এসে দুই থেকে গত শুক্রবার সকালে কর্মস্থলে ফিরে যান। তাদের সাংসারে কোন ঝগড়া বিবাদ ছিল না। মাঝে মধ্যে তার বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বেশী টাকা হাত খরচ করায় উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটি হত। কিন্ত কোন ঝগড়া বা মারামারি ঘটনা ঘটেনি কোন দিন।

অত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হাসানসহ সঙ্গীয় ফোর্স। এ ঘটনায় হালুয়াঘাট থানার উপ-পুলিশ পরির্দশক জ্যোতিষ চন্দ্র দেব জানান, নিহতের লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যার কারণ জানাযায়নি।

এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হাসান এ প্রতিবেদককে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছেন। এ ঘটনায় অত্র থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করেছেন। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যার কারণ জানাযায়নি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান।