শেরপুর পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ত্রিমুখী লড়াই

প্রকাশিত: ১১:১০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
শেরপুর পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে ত্রিমুখী লড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদক ; শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে ভোটাররা মনে করছেন। মূলত স্থানীয় আওয়ামী লীগে কোন্দলের কারণে এই ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা।
শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বর্তমান মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া লিটন, সাংবাদিক ও আ’লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, সাবেক প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, শেরপুর ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি , সাবেক মহিলা এমপি যুব-মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফাতেমাতুজ জোহুরা শ্যামলী, এমপির ভাই, শ্রমিক নেতা আরিফ রেজা।

শেরপুর পৌর নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া লিটনকে মনোনয়ন দিলেও বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার ও আরিফ রেজা এখনো মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি বলে জানান শেরপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার শেরপুর। ২৬ জানুয়ারি মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিন হলেও বিকেল ৫.৪৭ মিনিট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোনো বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি ।

এরই মধ্যে সোমবার বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন ।

এদিকে গত ৩ ডিসেম্বর ২০ বৃহস্পতিবার শেরপুর পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ৫ মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে তৃণমূলের ভোটে প্রথম হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান আনিস। তৃণমূলের ১০৯টি ভোটের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১০৬ জন। আনিস পেয়েছেন ৪৮টি, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান উৎপল ৩৩টি এবং বর্তমান মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন ২১টি ভোট পেয়েছেন। একটি ভোট বাতিল হয়েছে।

তবে অপর দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বতমান বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার এবং শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আরিফ রেজা তৃণমূলের ভোট বর্জন করেছেন। অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার ব্যক্তিগত চেম্বারে এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘দলীয় গঠনতন্ত্রের ২৮ (৫) ধারা অনুযায়ী জেলা-উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের পরামর্শ গ্রহণপূর্বক কমপক্ষে ৩ জনের একটি প্যানেল প্রস্তাব’ কেন্দ্রে প্রেরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সেই নিদের্শনা উপেক্ষা করে পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভোট করায় তিনি তা বর্জন করেছেন। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক তিনি ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন। শ্রমিক নেতা আরিফ রেজাও তৃণমুলের ভোট বর্জন করে স্বতন্ত্র নির্বাচনের কথা জানিয়েছেন।

ভোট গ্রহণ ১৪ ফেব্রুয়ারি রোববার। নির্বাচনী মাঠে নেই চায়ের কাপে ঠোকাঠুকি, নেই কোনো ডামাডোল, রাস্তায় বের হলে মনে হয় … শহরে কোনো নির্বাচন তো দূরে থাক। ৯টায় মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।