নেত্রকোনার মদনে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত

প্রকাশিত: ৮:১৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : একজন হাজীকে চুরির মামলার প্রধান আসামি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকালে নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের নায়েকপুর ও বাঁশরী গ্রামে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আজহার দিন বাঁশরী বাজার ট্রলার ঘাট থেকে কেন্দুয়া উপজেলার তাম্বুলী পাড়া পার্কে যেতে যাত্রী নিয়ে বাঁশরী গ্রামের ট্রলার চালক নুরুল ইসলামের সঙ্গে নায়েকপুর গ্রামের ট্রলার চালক জাসদ মিয়ার তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নায়েকপুর গ্রামের সবুজ ব্যাপারী বাদী হয়ে বাঁশরী গ্রামের সন্মানিত ব্যক্তি হাজী জালাল উদ্দিনকে প্রধান আসামি সহ ২৫ জনকে আসামি করে পরদিন (২ আগস্ট) রোববার একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর দু’গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এরই জের ধরে শনিবার দুপুরের দিকে বাঁশরী বাজারের ব্রীজের দুই পাড়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রোমান সংঘর্ষ থামানোর প্রাণপণ চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বেলা তিনটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নায়েকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রোমানসহ উভয়পক্ষের প্রায় অর্ধ-শতাধিক লোকজন আহত হয়।

মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার অলিজা জানান, সংঘর্ষে আহত হয়ে এ পর্যন্ত ২০/২৫ জন ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছে। গুরুতর আহত ১০ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রোমান জানান, বাকী আহতরা স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খালিয়াজুরী সার্কেল) জামাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, একজন বয়স্ক হাজী ব্যাক্তিকে চুরির মামলার আসামী করায় এবং ট্রলার ঘাটের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঁশরী ও নায়েকপুর গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।