বগুড়ায় লকডাউন ভেঙ্গে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে মানুষের ঘোরাঘুরি

প্রকাশিত: ৮:০৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : ১৪ জুন বগুড়ায় ৯টি রেডজোনে লকডাইন ঘোষণা করার পরও করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। জনগণ সচেতন না হওয়ায় সফল হচ্ছে না। রাতে লকডাইন এলাকায় বাঁশের ব্যারিকেট ভেঙ্গে মধ্যরাত পর্যন্ত বিনা করনে যানবাহন চলচল করছে। অপেক্ষাকৃত কম সংক্রমিত এলাকার মধ্যে দিয়ে সংক্রমিত এলাকার মানুষের ঘোরা ফেরা, আড্ডা বেড়ে যাওযায় ঝুঁকি বেড়ে বেড়ে যাচ্ছে কম সংক্রমিত এলাকার জনগণের।

১৪ জুন জেলার পৌর অঞ্চলের ৯টি এলাকায় লকডাউন সফলতা না আসায় ৬ জুলাই সোমবার থেকে আবারও পূর্ব ঘোষিত এলকায় লকডাউন দেয়া হয়েছে। কার্যকর কর ডাউন না হওয়ায় রাস্তায় বাঁশের তৈরী ব্যরিকেট ভেঙ্গে ঘোষিত লকডাউন এলাকায় মানুষ ও যানবাহন চলা চল করছে। রাতে আগের মত সাতমাথায় চটপটি, ফুচকা ও কাবাবের দোকান গুলো কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে শহরের জিরো পয়েন্ট সাত মাথাকে সরগরম করে তোলে।

জেলা সদরে করোনা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। গত ১১ দিনে (২১ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত) বগুড়ায় ১ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়। প্রতিদিন জেলার শহীদ জিয়াউর রহমান ল্যাবে ও টিএমএস মেডিকেল ল্যাবে প্রতিদিন প্রায় ৩৫০ জনের বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়ে থাকে তার মধ্যে বগুড়া সদরে করোনা রোগী বেশি শনাক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে বগুড়া সদরের একদিনে ৪০ থেকে ১০০ জনের বেশি । গত ৩ জুলাইয়ে একদিনে ১৪৮৭ জন করোনা শনাক্ত হওয়ার রিপোর্ট দিয়েচে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সোমবার পর্যন্ত করোনায় মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০,৭৮১ টি।

জেলার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ১৪ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত পৌর এলাকার ৯টি রেড জোনেরমধ্যে চেরোপড়া, ঠনঠনিয়া, করোনী, নাটাই পাড়াসহ প্রায় ৫টি এলাকায় করোনা সংক্রমণ কমেছে। পৌর এলাকার অন্য অঞ্চল গুরোতে সংক্রম কমেনি। তাই এই অঞ্চল গুলো করোনা নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য ৫ জুলাই থেকে ১৫ দিন বর্ধিত করা হয়েছে।

এদিকে ঘোষিত এলাকায় বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে যানবাহন চলাচল নিয়ন্দ্রন করার করা হলেও তা ভেঙ্গে যানবাহন চলাচলা করছে মধ্যরাত পর্যন্ত। দিনের বেলা বাঁশের ব্যারিকেট না ভাংতে পারলেও সন্ধ্যার পর পর ব্যারিকেট ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সংক্রমণ করার দাবী করলেও জনগণের অসচেতনতার জন্য করোনা সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কিছুতেই স্বাস্থ্য বিধি মানাতে বাধ্য করতে পারছেন।