পেছাচ্ছে চীনা সেনা, দৃষ্টিতে ১৯৬২

প্রকাশিত: ৭:৫৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : লাদাখের গালওয়ান থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে চীনা বাহিনী। তবে সকলের দৃষ্টিতে ১৯৬২ সালের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

অনেকরে মনে প্রশ্ন উঠেছে চীনা বাহিনীর এই পিছিয়ে যাওয়া ‘সাময়িক’ নয়তো? তবে ১৯৬২ সালের যুদ্ধের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখেই সতর্ক ভারত।

তাহলে ১৯৬২ সালের যুদ্ধে কী ঘটেছিলো। গালওয়ান উপত্যকায় সে সময় ঘাঁটি গেড়েছিল ভারতীয় গোর্খা রেজিমেন্ট। ৬ জুলাই চীনা প্ল্যাটুন গোর্খা বাহিনীকে দেখতে পায়। তারা হেডকোয়ার্টারে গিয়ে খবর দেয়। ৪ দিন পর ৩০০ জনের বাহিনী গালওয়ান উপত্যকায় জড়ো করে চীন। তারা গোর্খা রেজিমেন্টকে ঘিরে ফেলে। দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয় ।

১৫ জুলাই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, গালওয়ান পোস্ট থেকে ২০০ মিটার দূরে সরে গিয়েছে চীনা বাহিনী। কিন্তু তা ছিল নেহাতই ‘সাময়িক’। ফের ফিরে আসে চীনা বাহিনী। এর পর তিন মাস ধরে নয়াদিল্লি এবং বেজিংয়ের মধ্যে দীর্ঘ চিঠি আদান প্রদান চলে। এর মধ্যেই গ্রীষ্ম গড়িয়ে শীত চলে আসতে শুরু করে। গালওয়ানের তাপমাত্রাও দ্রুত নামতে থাকে। সেই সুযোগ নিয়ে ওই বছরের ২০ অক্টোবর গালওয়ান পোস্টে আচমকা হামলা চালায় চীনা বাহিনী। নিহত হন ৩৬ জন ভারতীয় সেনা। শুরু হয়ে যায় ভারত চীন যুদ্ধ। গালওয়ানসহ ভারত-চীন সীমান্তের একাধিক এলাকায় চলে যুদ্ধ।

প্রায় ৬ দশক পর এ বারও সঙ্ঘাতের কেন্দ্রবিন্দু সেই গালওয়ান। আগের ঘটনাক্রমের সঙ্গে মিলও পাওয়া যাচ্ছে কিছুটা। রোববার রাত থেকে গালওয়ানের সঙ্ঘর্ষস্থল বা পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ থেকে পিছিয়ে যেতে শুরু করেছে চীনা সেনা। পাশাপাশি, গোগরা হট স্প্রিং ও প্যাংগং হ্রদের উত্তর দিকের অধিকৃত এলাকাতেও চীনা সাজোয়া গাড়িগুলি অনেকটাই পিছিয়েছে। কিন্তু ইতিহাস মনে রেখেই সতর্ক রয়েছে ভারতীয় বাহিনী।

১৯৬২ সালের ১৫ জুলাই সংবাদপত্রের শিরোনাম ছিল ‘গালওয়ান থেকে সরে গেল চিনা সেনা’। প্রায় ছ’দশক আগের সংবাদপত্রের সেই শিরোনামই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে উঠেছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে সতর্কবার্তাও। কারণ, ১৯৬২ সালের ওই সময়ের ঠিক ৯৬ দিন পর, ২০ অক্টোবর শুরু হয়ে গিয়েছিল ভারত-চিন যুদ্ধ। আর তার অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছিলো গালওয়ান।