গৌরীপুরে সরকারী নির্দেশনার পরও দোকান খোলা দুরুত্ব না মানায় বাড়ছে ঝুঁকি

প্রকাশিত: ৮:১২ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২০

কমল সরকার গৌরীপুর : করোনাকালীন ময়মনসিংহের গৌরীপুরে নিয়ম-নীতি তোয়াাক্কা না করেই চলছে অবাধ জনসমাগম। শনি এবং মঙ্গলবার হলো গৌরীপুর বাজারের সাপ্তাহিক হাট বার।

এই হাটবারের দিন মানুষের ঢল নামে বাজারে। শনিবার (২০ জুন) গৌরীপুর বাজারের কাঁচা বাজারসহ অন্যান্য দোকানগুলোতে দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। মানছে না কেউ সামাজিক দূরত্ব।

বাজারের বর্তমান চিত্র দেখে মনেই হয়না যে, করোনা নামের কোনো মহামারি রয়েছে। তাছাড়া হাটবার ছাড়াও আমাদের গৌরীপুর পৌরবাজারসহ উপজেলার অন্যান্য স্থানীয় গ্রামীন বাজারগুলোতে থাকছে অস্বাভাবিক ভিড়। স্থানীয় বাজারগুলোতে ভোর হতে না হতেই মানুষের ঢল নামে।

স্থানীয় প্রশাসন মাইকিংসহ দোকানে গিয়ে গিয়ে বারবার বলার পরও ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের দৃষ্টির অগোচরে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে তাদেও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেঁজুতি ধরের নির্দেশনায় বিকাল ৪টার পর দোকান-পাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকলেও কেউ মানছেনা নির্দেশনা। অন্যদিকে ক্রেতারা মানছে না সামাজিক দূরত্ব।

উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রামীন বাজারেই সাপ্তাহিক হাটবারের দিন অনেক লোকের সমাগম হয়ে থাকে। এতে যানজটের পাশাপাশি মানুষের সমাগম এতো বেশি হয় যে, সেখানে সামাজিকভাবে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে শতভাগ। সারাদেশে করোনা নামক মহামারির তান্ডব শুরু’র পর পরেই গৌরীপুরের প্রশাসনসহ সাধারণ মানুষ সচেতনভাবে চলাচল করলেও এখন কেউ করোনাকে তোয়াক্কা করছে না। উপজেলায় প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনোদিকে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদ রানার নেতৃত্বে একাধিক ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন মেয়াদে জরিমানা করলেও বর্তমানে কোনো দোকানদারই মানছেনা সরকারি বিধিনিষেধ। এতে করে সামাজিক ভাবে করোনার ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। সুধীজনসহ অনেকেরই মতামত, করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে গৌরীপুরকে রক্ষা করতে হলে স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। জনসধারণের মনে এখন কেবল

একটাই প্রশ্ন, যখন সারাদেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্য ছিল কম। তখন প্রশাসনসহ সকলের মনের মধ্যে একটা ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। আর এখন দেশে প্রতিদিন তিন হাজারের অধিক আক্রান্তের সংবাদ পাওয়া গেলেও গৌরীপুর প্রশাসনের আগের মতো তেমন কোনো নজরদারি নেই । এদিকে মানুষের অসচেতনতা যেমন বাড়ছে অপরদিকে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন তেমনই বৃদ্ধি পাচ্ছে।