‘নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে’

প্রকাশিত: ১২:১৯ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৩, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘সকলের জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। জনগণ সচেতন হলে নিরাপদ নয় এমন খাদ্য উৎপাদন ও পরিবেশন বন্ধ হয়ে যাবে।’

বুধবার নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে “নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর আইন, বিধি ও প্রবিধিমালার প্রয়োগ” শীর্ষক আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। তারপরও আমাদের একটি অভাব রয়েই গেছে। সেটি হলো নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের অভাব। এটি নিশ্চিত করাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।’

তিনি বলেন, ‘দেশে অনেক ভালো ভালো শাক-সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। এসব সবজি জাতীয় খাদ্য উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে খাদ্যের নিরাপত্তা ও পুষ্টিমান বজায় রাখা জরুরি। দেশের প্রতিটি মানুষের জীবন খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। যিনি উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত, তার যেমন সচেতনতা প্রয়োজন, তেমনই যিনি খাদ্য গ্রহণ করবেন তার ক্ষেত্রেও নিরাপত্তার বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।’

তাই সুস্থ সবল জাতি গঠনে সবাইকে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

সাধনচন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘যারা খাদ্যে ভেজাল দেয়, যারা ভেজাল খাবার তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ভেজাল খাবার তৈরি ও পরিবেশন যারা করে তাদের বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করতে প্রত্যেক নাগরিককে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

তিনি বলেন, যদি কেউ ফরমালিনসহ অন্য যেকোনো অননুমোদিত রাসায়নিক দ্রব্য ফলমূল, শাকসবজিসহ অন্যান্য খাদ্য সংরক্ষণ ও ব্যবহার করেন, সে ক্ষেত্রে নিরাপদ খাদ্য আইনে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ফরমালিনের যেকোনো অননুমোদিত ব্যবহার শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এ সময় নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, গ্রহণ ও পরিবেশন এবং বেশি লাভের আশায় হোটেল ব্যবসায়ীদের পঁচা, বাসি খাবার বিক্রি না করারও আহ্বান জানান খাদ্যমন্ত্রী।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হামিদ রেজার সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ্ মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা চিন্ময় প্রামাণিক, ভাইস চেয়ারম্যান কাজীবুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির হোসেন, থানার অফিসার ইন-চার্জ জহুরুল হক, আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি ও হোটেল মালিকরা।

পরে খাদ্যমন্ত্রী উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা, সমন্বয় সভা ও জলমহাল কমিটির সভায় যোগদান করেন।