রৌমারীতে ৩৫ গ্রাম প্লাবিত

প্রকাশিত: ৭:২৩ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি আর পাহারী ঢলে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চার ইউনিয়নের ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এদিকে, জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের পনি কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও এখনও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জানা যায়, সীমান্ত ঘেঁষা রৌমারী উপজেলার জিঞ্জিরাম, ধরনী ও কালজানি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার রৌমারী, শৌলমারী, দাঁতভাঙ্গা ও যাদুর চর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন। নৌকা দিয়ে যাতায়াত করছেন এসব এলাকার মানুষ। বাদাম, পাট ও সবজিসহ বিভিন্ন প্রকার ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন এখানকার কৃষকরা।

উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পেয়ে জমির বাদাম ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। আমরা খুব ক্ষতির মুখে পড়েছি।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্ল্যাহ বলেন, উপজেলার ৩৫ গ্রামের ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

এছাড়া, উপজেলার ২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি প্রবেশ করায় সাময়িক ভাবে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করেছে প্রশাসন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, রৌমারী উপজেলার ২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকে পড়ায় শিক্ষা কার্যক্রম সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, বৃষ্টির সঙ্গে নেমে আসা উজানের পানিতে উপজেলার বেশ কিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তবে কত সংখ্যক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন তা নিরুপণে কাজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি পানিবন্দি মানুষের সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের পানি নুন খাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২০৬ সেন্টিমিটার ও চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ১৬৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ১২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের ঢলে ও বৃষ্টিতে উপজেলার কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকে পড়লেও আপাতত বড় ধরনের কোন বন্যার সম্ভাবনা নেই। তবে আগামী ২০-২৫ জুনের মধ্যে বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।