‘মজনু যেন জজ মিয়ার কাহিনির মতো না হয়’

প্রকাশিত: ৩:২৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১০, ২০২০

নিউজ ডেস্কঃ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ঢা‌বি শিক্ষার্থীকে ধর্ষ‌ণের অভিযো‌গে একজন মজনু আবিষ্কার হয়েছে। মজনু মিয়া যেন জজ মিয়া কাহিনির মতো না হয়। য‌দি জজ মিয়া নাটকের মতো হয়, তাহ‌লে দে‌শে যে হা‌রে ধর্ষণ হ‌চ্ছে তার সমাধান হ‌বে না।বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলন’-এর আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের পাশে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। দেশে এত গোয়েন্দা সংস্থা, তারা কী করে। তারা কি শুধু প্রধানমন্ত্রীকে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করে? জনগণকে পাহারা দেয়ার দা‌য়িত্ব নাই?’তিনি বলেন, ‘সেই ধর্ষণের অভিযোগে একজন মজনু মিয়া আবিষ্কার হয়েছে। সেই মজনু মিয়া যেন জজ মিয়া কাহিনির মতো না হয়। জজ মিয়া কাহিনি দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গত ২৯ ডিসেম্বর ধর্ষণ তো হয়েছে বাংলাদেশের জনগণ। সেই প্রক্রিয়া তো চলছে। গত বছর নির্বাচনের পরে একজন মা ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। এখনও নির্বাচন আমেজ চলছে। সেখানেও কি এই ধর্ষণ চলবে? এসব থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে সম্মিলিত হয়ে দাঁড়াতে হবে।এই ধর্ষণের বিরুদ্ধে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতিবাদ সভা করেছেন। এটা নিঃসন্দেহে ভালো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ছাত্রীরা বলাৎকার হয়, মেধাবী ছাত্রকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। এটাও তো বড় ধরনের অপরাধ। মূলকথা হলো, প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের মা-বোনেরা ধর্ষণের শিকার হয়।’দেশের জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণ হয় নাই, ধর্ষণ হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযোদ্ধারা। ধর্ষণ হয়েছে দেশের জনগণ। তাই আর কতকাল ধৈর্য ধরে থাকবেন। এসব থেকে বাঁচতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া উপায় নাই। এর থেকে যদি মুক্তি না পান, তাহলে দেশ মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণে চলবে।

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত ও কয়েকশ আহত হন।তখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। গ্রেনেড হামলার জন্য ওই সরকারের কর্তাব্যক্তিরা তখন আওয়ামী লীগকেই দায়ী করেছিলেন; তদন্ত নিয়েও ওঠে নানা প্রশ্ন।হামলার পরের বছর ৯ জুন নোয়াখালীর এক গ্রাম থেকে জজ মিয়া নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় এনে তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তারা দাবি করেন, তিনিই এই হামলার হোতা। নির্যাতনের মুখে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছিলেন জজ মিয়া।