করোনায় মৃত্যু কমলেও বেড়েছে আক্রান্ত

প্রকাশিত: ৮:৪৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ২৩৫ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ৫ লাখ ১২ হাজার ৪৯৬ জন।বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৭ হাজার ৫৩১ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫০৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭০ জন।

মঙ্গলবার দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিলো ৩০ জনের। শনাক্ত হয়েছিলেন এক হাজার ১৮১ জন।

গত সোমবার মহামারি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিলো ২৭ জনের। শনাক্ত হয়েছিলেন ৯৩২ জন।

বুধবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৮০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৪টি, জিন-এক্সপার্ট ২৬টি, র‌্যাপিড অন্টিজেন ৪০টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৫ হাজার ৪০৮টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ২২৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৪ টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ৮ দশমিক ১১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৯৯ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৭ শতাংশ।

একই সময়ে মৃত ২২ জনের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে পাঁচজন, ময়মনসিংহ বিভাগে দু’জন, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে একজন করে ৪ জন রয়েছেন। সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৩১ থেকে থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১২৭ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১২৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৬ হাজার ২১২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৪ হাজার ৬৯০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ৫২২ জন।

গত ০৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। আর ১৮ মার্চ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানায় আইইডিসিআর।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

৩১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস চালু করা হয়। একই ভাবে শুরু হয় গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু মাদ্রাসা বাদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে।