দেশে কোনো পরিবার আর গৃহহীন থাকবে না : পলক

প্রকাশিত: ৬:৩৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সারাদেশে ৯ লাখ গৃহহীন পরিবারের তালিকা প্রণয়ন করে বঙ্গবন্ধু জন্মশত বার্ষিকীতে পর্যায়ক্রমে তাদের গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। দেশে কোনো পরিবার আর গৃহহীন থাকবে না।
প্রতিমন্ত্রী পলক বৃহস্পতিবার সকালে সিংড়া উপজেলার মাঝগ্রাম এলাকায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাড়ি নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের শুধু বিজয়ই উপহার দেননি, দেশের মেহনতি মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের মাধ্যমে সুখী সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন। আমাদের সংবিধানে সংযোজিত দেশের সকল মানুষের গৃহ নির্মাণসহ পাঁচটি মৌলিক চাহিদা পূরণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেন বঙ্গবন্ধু। ৭১’র পরাজিত শক্তিরা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে চেয়েছিল। তিনি বেঁচে থাকলে অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হতো। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পূর্ণ করতে কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়ন করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। জনদরদী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পূণর্বাসিত করার কার্যক্রম শুরু করেছেন। পর্যায়ক্রমে দেশের নয় লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। মুজিব শতবর্ষে সারাদেশে এক হাজার ১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৫ হাজার ৭২৬টি গৃহ নির্মাণ কাজ এখন শেষের পথে, আগামী ১৫ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এসব গৃহ হস্তান্তর করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, করোনাকালীন সময়ে উন্নত অনেক দেশের অর্থনীতি বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বে শুধু করোনা সংকটই নয় একই সাথে বন্যা পরিস্থিতিও মোকাবেলা করা হয়েছে। নিরন্ন মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে, কর্মহীন মানুষকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের কারনে আমাদের দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়নি। বর্তমানে আমাদের অর্থনীতি অনেক সমৃদ্ধ। আশা করা হচ্ছে, আগামী ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত অর্থনীতির ২৫টি দেশের একটি হবে।

পলক আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’র আধুনিক রুপ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের সুফল পেতে শুরু করেছে দেশের মানুষ। বর্তমান সরকার দেশের মানুষের জীবনধারায় প্রযুক্তির সংযোজন করায় দূর্নীতি ও হয়রানি দূর হয়েছে, জীবন হয়েছে সহজ ও সুন্দর। ঘরে বসেই মানুষ তাদের কাংখিত সেবা পাচ্ছেন। ২০১৭ সাল থেকে চালু হওয়া কল সেন্টারের মাধ্যমে মানুষ জরুরী স্বাস্থ্য সেবা, দুর্ঘটনার উদ্ধার সন্ত্রাস ও নির্যাতনের প্রতিকার পাচ্ছেন। টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামে বসে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন, কৃষকরা পাচ্ছেন নতুন প্রযুক্তি আর বাজারজাতকরণ সুবিধা, সরকারি দপ্তরে ই-নথি সেবার মাধ্যমে দ্রুত সময়ে এবং অফিস বন্ধের সময়েও নাগরিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। সূত্র-বাসস