‘আমরা সৌভাগ্যবান শেখ হাসিনার মতো রাষ্ট্রনায়ক পেয়েছি’

প্রকাশিত: ৪:৪৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা সৌভাগ্যবান যে আমরা এমন একটা সময় আছি যখন শেখ হাসিনার মতো একজন রাষ্ট্রনায়ক পেয়েছি। দেশের জন্য একজন শেখ হাসিনা দরকার। এ মানুষের থেকে শেখার শেষ নেই।

মঙ্গলবার রাতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একসাথে থেকে অনেক কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তার স্মৃতিশক্তি অসাধারণ। শুধু তাই নয়, তিনি যে সারাদেশ নিয়ে কিভাবে চিন্তা করেন তা বলে বোঝানো যাবে না।

তিনি যখন বিশ্বনেতাদের সঙ্গে বসেন, কথা বলেন, তখন বিদেশি বিভিন্ন দেশের প্রধানরা খুব মনোযোগ দিয়ে তার কথা শোনেন। কারণ তারা জানেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো ভিত্তিহীন কথা বলেন না।

যারা বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবারকে সমূলে ধ্বংস করে পাকিস্তানিদের দোষরদের এ দেশে রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। কিন্তু তারা জানেন না আদর্শের কোনো মৃত্যু নেই। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাকে নিয়ে এ রাষ্ট্র গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিই।

তিনি বলেন, অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধুর জন্য কেউ রাস্তায়ও নামেনি। এটা একেবারেই ভিত্তিহীন। সেদিন রাস্তায় নামার সুযোগ দেয়নি। কারফিউ দিয়ে পাঁচ বছর দেশ চলেছে। সবকিছু ওলটপালট হয়ে গেল। পাকিস্তানের আদলে হয়ে গেল বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। এর মধ্যে দেশে ফিরে এলে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন মানুষ কাঁদছে, প্রকৃতি কাঁদছে। সেদিন মনে হয়েছিল বাংলাদেশ ফিরে এসেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে যে কান্নার সুযোগ পায়নি, শেখ হাসিনাকে পেয়ে মানুষ জাতির পিতাকে হারানো কান্না নতুনভাবে কান্না করার সুযোগ পেয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা শুধু লেখক হলেও দারুণ জনপ্রিয়তা পেতেন। তিনি যখন লেখেন একেবারে প্রাণখুলে লেখেন। বিশ্বের জন্য একজন সুস্থ শেখ হাসিনা কামনা করছি। আমরা সৌভাগ্যবান। আমাদের একজন শেখ হাসিনা আছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, শেখ হাসিনা বহুমাত্রিক পরিচয়ে অনন্যা। তিনি দায়িত্বশীল মা, স্নেহশীলা বোন।

যিনি আমাদেরকে শেখান মানুষের জন্য কীভাবে কাজ করতে হবে। কিভাবে ভালোবাসতে হবে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির কন্যা হিসেবে তিনিও নিজের জীবন মানুষের জন্য উৎসর্গ করছেন।

হাসিনা শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীত্ব চান না। তিনি এদেশের মানুষের মুক্তি চান। তিনি আমাদের প্রধান শিক্ষক। তিনি আমাদের বাতিঘর।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, যখন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের বিষয়টি আসছিলো আমি ভাবছিলাম তিনি আসলে কী করেছেন। আমি ভেবেছি। কিন্তু বিষয়টি অন্ধের হাতি দেখার মতো। অর্থাৎ তার বিশালতা শুধু অনুভব করা যায়।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অবদান বুঝতে হলে আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ভিশন বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের একজন সুস্থ শেখ হাসিনার প্রয়োজন। আমরা যত বেশি তার জন্মদিন উদযাপন করতে পারবো এ দেশ তত এগিয়ে যাবে।

সংগঠনের সদস্য সচিব সৈয়দ জাফর আলী স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বাঙালি সার্বিক মুক্তির জন্য যার জন্ম হয়েছিলো তিনি শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি শিক্ষা ক্যাডারে চলমান সংকট তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিন। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপুল চন্দ্র সরকার। আলোচনা সভা শেষে শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা ও দোয়া শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।