শাহেদের মামলার তদন্ত করবে র‍্যাব

প্রকাশিত: ৮:২৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতারণার মামলার তদন্তভার নতুন করে র‍্যাবকে দেয়া হয়েছে।

এতদিন মামলার তদন্ত করছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মামলাটিই তদন্ত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিল র‌্যাব। ইতোমধ্যে শাহেদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি জাল টাকা মামলা ও সাতক্ষীরার দেবহাট্রা থানায় অবৈধ অস্ত্র ও ম্যাগজিন ভর্তি গুলি উদ্ধারের ঘটনায় র‌্যাবের দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলাসহ এই দু’টি মামলা তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে র‌্যাব।

এদিকে, শাহেদের মামলার বিষয়ে বৈঠক করতে মঙ্গলবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্ণেল সারওয়ার বিন কাশেম ও র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

বুধবার র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র (পরিচালক) লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর পরই তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করি। মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই শেষে আমাদের তদন্তের অনুমোদন দেয়।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে শাহেদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি জাল টাকার মামলা ও সাতক্ষীরার দেবহাট্রা থানায় অবৈধ অস্ত্র ও ম্যাগজিন ভর্তি গুলি উদ্ধারের ঘটনায় র‌্যাবের দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলা তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই আমরা এই দু’টি মামলার তদন্তের অনুমোদন পেয়ে যাব।’

এক প্রশ্নের জবাবে লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহ বলেন, ‘রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদ করিম ওরফে মো. শাহেদকে প্রধান আসামি করে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনের নামে দায়ের করা প্রতারণা ও টাকা আত্মসাত মামলায় নতুন করে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)’র তদন্ত কর্মকর্তার নিকট থেকে মামলার সমস্ত কাগজপত্র ও মামলার ডকেট আনা, তারপর শাহেদের দেয়া তথ্য উপাত্ত, স্বীকারোক্তি ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম চালানো হবে।

শাহেদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কতগুলো অভিযোগ র‌্যাবের কাছে জমা পড়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বুধবার পর্যন্ত মুঠোফোনে ও ইমেইলে সব মিলেয়ে শাহেদের বিরুদ্ধে ১৫০টি অভিযোগ আমাদের কাছে জমা পড়েছে। এগুলো যাচাই বাচাই করা হচেছ।

ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা বুধবার গণমাধ্যমকে বলেন, এখনও পর্যন্ত শাহেদের বিরুদ্ধে আমার থানায় ১১টি প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাত, জাল টাকা সংক্রান্ত অপরাধসহ ১১টি মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এজাহারে। এরপর থেকেই পালিয়ে ছিলেন শাহেদ।’

গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্তের দেবহাটা থানার সাকড় বাজারের পাশে অবস্থিত লবঙ্গপতি এলাকা থেকে রিজেন্ট হাসপাতালের শাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে সেখানে থেকে তাৎক্ষণিক হেলিকপ্টারে করে ঢাকা নিয়ে আসা হয়।

এরপর ১৬ জুলাই শাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। তবে ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পর দিন ১৬ জুলাই শাহেদ ও রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। আর শাহেদের প্রধান সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।