৯৫ শতাংশ মানুষ পুলিশের সেবার মান নিয়ে সন্তুষ্ট: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত: ১:০৪ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক ; জিডি ও মামলা মনিটরিং বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, থানায় জিডি ও মামলার ক্ষেত্রে ডিএমপি সদর দফতর থেকে সেবাপ্রত্যাশীদের ফোন করে পুলিশের সেবার মান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এতে ৯৫ শতাংশের বেশি মানুষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এটা একটি ভালো দিক। এটাকে ধরে রেখে আরও ভালো সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
রোববার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশ দেন তিনি।

রাজধানীতে স্থায়ী চেকপোস্টের পাশাপাশি পূর্ণোদ্যমে অস্থায়ী চেকপোস্ট করার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।

ফ্লাইওভারগুলোতে উঠা ও নামার জায়গায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সিসি ক্যামেরা বসাতে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, গাড়ি ও মোটরসাইকেল চুরি প্রতিরোধে প্রযুক্তির সাহায্য নেয়া যেতে পারে। ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) ও সাসপেক্ট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেম (এসআইভিএস) এর মত সফটওয়্যার হালনাগাদ করে চোর/ছিনতাইকারীদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, গাড়ি ও মোটরসাইকেল ট্রাকিং সিস্টেমের আওতায় আসলে চুরি অনেকাংশে কমে যাবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানসম্মত তদন্ত করুন, এমন কোন অপেশাদার আচরণ করবেন না যাতে আপনার ব্যক্তিগত দায় চলে আসে।

নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করতে হবে উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, থানার প্রতিটি বিটে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সচেতনতামূলক সমাবেশ করা যেতে পারে। এসব সমাবেশে নারীদের কাছ থেকে তাদের সমস্যা সম্পর্কে জানতে হবে এবং সমস্যা সম্পর্কে করণীয় বিষয়ে তাদের সুপারিশসমূহ বিবেচনায় নিতে হবে।

নারী নির্যাতন ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধসমূহের নিয়ামক মাদক উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধুমাত্র অধিক পরিমাণ মাদক উদ্ধার করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। মাদকসেবীদের চিহ্নিত করে তাদের মাদকসেবন থেকে ফিরিয়ে আনতে পারলে মাদকসেবী কমার সঙ্গে সঙ্গে মাদকও কমে যাবে।

কিশোর গ্যাং-এর ব্যাপারে অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের অবস্থান, গতিবিধি, ইভটিজিং ও মাদকসেবনের স্থানসমূহ নজরদারির মধ্যে আনার জন্য বিট অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়। এক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট বিট অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশসহ ঢাকা শহরের রাস্তায় কোন ধরনের ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

সেপ্টেম্বরের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় শ্রেষ্ঠ অপরাধ বিভাগ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে গুলশান বিভাগ, শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা বিভাগ নির্বাচিত হয়েছে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ ও শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক বিভাগ হিসেব নির্বাচিত হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ।

এছাড়াও ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৭ জনকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার। এ সময় ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।