গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক

প্রকাশিত: ১১:০২ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থেকে ঝুমা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী মো. সোহাগ মিয়া (২৫) কে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল পৌরসভার শান্তিবাগ এলাকার বেবী বেগমের মালিকানাধীন ভাড়া বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধূর বাড়ি আশুগঞ্জের কুইল্লারচর এলাকায়। নিহতের স্বামী সোহাগ মিয়া পেশায় একজন মুদি ব্যবসায়ী। সোহাগ মিয়া অত্র এলাকার জিয়াউর রহমানের ছেলে।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে দু’জন না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল ৮ টার দিকে হঠাৎ স্বামী সোহাগ মিয়া বাহির থেকে এসে ঝুমা আক্তারকে ঘরের বিছানায় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দিয়ে উঠলে আশপাশের লোকজন গিয়ে অচেতন অবস্থায় ঝুমাকে দেখতে পায়। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঝুমাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।

প্রতিবেশী স্বপ্না বেগম বলেন, নিজে পছন্দ করে গত ৫ মাস আগে আপন চাচাতো বোনকে বিয়ে করে সোহাগ। বিয়ের পর তাদের মধ্যে আমরা কখনো কোনো ঝগড়া বিবাদ দেখিনি।

বিষয়টি নিয়ে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কাউন্সিলর মীর এম এ সালাম বলেন, আমি ব্যক্তিগত কাজে ঢাকা থাকাকালীন আজ সকাল দশটার দিকে আমার ওয়ার্ডের এক প্রতিবেশী আমাকে ফোন দিয়ে জানায় সোহাগ মিয়ার স্ত্রী অসুস্থ। তখন আমি তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দেই। কিন্তু বিকাল ৪ টার দিকে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ আমাকে ফোন দিয়ে জানায় সোহাগ মিয়ার স্ত্রী ঝুমা আক্তার মারা গেছেন। তবে এই পরিবারটি আমার ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন থাকা সত্বেও তাদের বিষয়ে কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি।

শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আব্দুস ছালেক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। এই ঘটনায় নিহতের স্বামী সোহাগ মিয়াকে আমরা আটক করে থানায় নিয়ে আসি। গৃহবধুর মৃত্যুর বিষয়ে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃত ঝুমা আক্তারের শশুর জিয়াউর রহমান এবং ভাসুর এনামুল মিয়াকেও থানায় আনা হয়েছে। আমরা এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো। ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর বিষয়টি জানা যাবে।