কাদের মির্জাসহ ৯৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন

প্রকাশিত: ৫:৩৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২১

সময় সংবাদ ডেস্কঃনোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে মারধরের অভিযোগে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে দায়ের করা পিটিশন মামলাটি আগামি ১০ দিনের মধ্যে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুানালের বিচারক শোয়েব উদ্দিন খান এ আদেশ দেন।

এর আগে সকালে খিজির হায়াত খানের স্ত্রী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আরজুমান পারভীন বাদী হয়ে পিটিশন মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি ছাড়াও তার ভাই শাহাদাৎ হোসেন এবং ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাসিক সহ ৯৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট হারুন অর রশিদ হাওলাদার জানান, মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার লোকজন গত ৮ মার্চ সন্ধ্যায় বসুরহাটে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খানকে মারধর করে। হামলাকারীরা এ সময় ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃস্টি করে। এ ঘটনায় খিজির হায়াত খানের স্ত্রী আরজুমান পারভীন কোম্পানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা মামলা হিসেবে রেকর্ড না করায় তিনি আদালতের শরনাপন্ন হয়েছেন। আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর মামলার বাদী তার পুলিশের কাছে অভিযোগটি নিরপেক্ষভাবে তদন্তের দাবি জানান।

এর আগে সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে জেলার ২ নং আমলী আদালতে পিটিশন মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। ওইদিন বিকেলে এ বিষয়ে শুনানী শেষে বিচারক এসএম মোসলেহ উদ্দিন মিজান মামলাটি তার এখতিয়ার বর্হিভুত উল্লেখ করে বাদীকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার পরার্মশ দেন।