মরেনি শুনেই সিনহার বুকে লাথি ও গলায় পাড়া দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ওসি প্রদীপ দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ১০:০৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০২০ অনলাইন ডেস্ক : অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত জেনে আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন ওসি প্রদীপ। ইন্সপেক্টর লিয়াকত এবং এসআই নন্দদুলালের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য। তবে কী কারণে তিনি সিনহাকে হত্যা করেন তা এখনও অজানা। লিয়াকতের জবানবন্দিতে তিনি জানিয়েছেন, ওসি প্রদীপ তাকে আগে থেকেই এখানে ডাকাত আছে বলে রেখেছিলেন। এছাড়া তারা ভিডিও শ্যুট করছে বলে ওসি প্রদীপ জানান। এ সময় তাদের দেখা মাত্র হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জবানবন্দিতে লিয়াকত আরও জানান, ঘটনার দিন গাড়ি থামালেই সিনহা বের হতেই দূর থেকে ভয়ে বা যেকোনো কারণেই ৪ রাউন্ড গুলি ছোড়েন তিনি। তবে সিনহার হাতে কিছু ছিল কিনা তা তিনি দেখেননি। পরবর্তীতে ওসি প্রদীপ ঘটনাস্থলে আসতেই জানতে চান মেজর সিনহা বেঁচে আছেন কিনা। লিয়াকত জানান, মেজর সিনহা মারা যাননি। এখনোও আহত অবস্থায় আছেন। ওসি প্রদীপ তখন সিনহার বুকের বাম পাশে লাথি মারেন এবং গলায় পা দিয়ে ধরেন। সিনহা কিছুটা স্থবির হয়ে গেলেই ওসি প্রদীপ আনন্দ প্রকাশ করেন। এসআই নন্দদুলালের জবানবন্দিতে জানান, সিনহা গাড়ি থেকে নামতেই প্রথমে লিয়াকত দুই রাউন্ড গুলি করেন। তিনি আবার এগোলে আবারও গুলি ছোড়েন। যেখানে লিয়াকত জবানবন্দিতে জানিয়েছেন তিনি একবারেই ৪ রাউন্ড গুলি ছুড়েছেন। এসআই নন্দদুলাল আরও জানান, তখন তারা সার্চ করে কোনো মাদকদ্রব্য পাননি, তবে একটি অস্ত্র ও কিছু কাগজপত্র পেয়েছেন। সিনহা রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে তা জানানো হয় ওসি প্রদীপকে। এ সময় প্রদীপ বলেন, আমি না আসা পর্যন্ত তুমি (লিয়াকত) ওখানে থাকো, আমি আসছি। এর কিছু সময় পরেই ওসি প্রদীপ ঘটনাস্থলে আসেন। প্রদীপ ঘটনাস্থলে এসে সিনহাকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে থাকেন এবং সিফাতকে নির্যাতন করেন। এছাড়া ওসি প্রদীপ সিনহার বুকের বাম পাশে লাত্থি মারেন এবং গলায় পা দিয়ে ধরেন। এসময়টুকুর মধ্যেই লিয়াকতের কাছে বার বার মেজর সিনহা পানি চেয়েছিলেন। নন্দদুলাল বলেন, ওসি প্রদীপ আনন্দের সঙ্গে জানিয়েছিলেন শেষ পর্যন্ত মেরে ফেলতে পেরেছি। এছাড়া ওসি প্রদীপের কথামতই এজহারের সব কাগজ করা হয়েছিল। এখন প্রশ্ন একটাই, কি দ্বন্দ্ব ছিল মেজর সিনহার সঙ্গে ওসি প্রদীপের? যে কারণে সিনহাকে হত্যা করা হয়েছিল? গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে ‘গাড়ি তল্লাশিকে’ কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে পুলিশ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, এপিবিএনের তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ ঘটনার পর গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান, ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে দুই নম্বর আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। Share this:FacebookX Related posts: আগাম জামিন পেলেন প্রথম আলো’র সম্পাদক গাজীপুরে ধর্ষণের পর ফেসবুকে উল্লাসকারী ৪ জন রিমান্ডে টাঙ্গাইলে ৩ স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় দুজনের দায় স্বীকার কিশোরগঞ্জে চোলাই মদসহ ২৪জন মাদক বিক্রয় ও সেবনকারীকে সাজা সাংবাদিক আরিফুলের মৃত বাবাকেও সাজা দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত সিনহা হত্যা: র্যাব কার্যালয়ে ৭ আসামি যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূকে হত্যা, স্বামী-শ্বশুরের মৃত্যুদণ্ড মাদারীপুরের ডিসি এডিসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা টাঙ্গাইলে মাদক মামলায় স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন সাবেক ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে আরেক মামলা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধনে ১০০ বিচারক মাদারীপুরে হত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসি SHARES Matched Content আইন আদালত বিষয়: ওসি প্রদীপমরেনি শুনেইলাথি ও গলায় পাড়া দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেসিনহার বুকে