করোনা টিকা নিলে মানুষ সমকামী হবে, দাবি ইরানি ধর্মগুরুর

প্রকাশিত: ১০:৩৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিলে মানুষ সমকামী হয়ে যাবে বলে অদ্ভূত দাবি করেছেন ইরানের এক ধর্মগুরু। আর তাই করোনা টিকা না নিতে এবং যারা নিয়েছেন তাদের কাছে না যেতে নিজের অনুসারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

অদ্ভূত এই দাবি করা ইরানি ওই ধর্মগুরুর নাম আয়াতুল্লাহ আব্বাস তাবরিজিয়ান। তিনি ইরানের কোম শহরের বাসিন্দা। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে ইরানি এই ধর্মগুরু লেখেন, ‘যারা কোভিড টিকা নিয়েছেন, তাদের কাছে কেউ যাবেন না। তারা সমকামী হয়ে গেছে।’

টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে তাবরিজিয়ানের প্রায় দুই লাখ ১০ হাজার অনুসারী রয়েছে। তাদের সবার উদ্দেশে তিনি এই আহ্বান জানিয়েছেন। তবে পশ্চিমা বিভিন্ন ওষুধের ব্যাপারে ইরানি এই ধর্মগুরু এর আগেও তীর্যক মন্তব্য করেছেন। গত বছরের জানুয়ারি মাসে এই মুসলিম ধর্মগুরুর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন সাইটে ভাইরাল হয়।

ইরানের রেডিও ফর্দ-তে প্রকাশিত প্রবন্ধ অনুযায়ী, ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের এক বিজ্ঞানীর হ্যারিসন’স ম্যানুয়াল অব মেডিসিন নামক বই আগুনে পোড়াতে দেখা যায়। সেসময় তিনি দাবি করেছিলেন, ইসলামিক ওষুধগুলো এসব গবেষণার বইকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বানিয়ে দিয়েছে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথমে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে করোনার ভ্যাকসিন আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এরপরই ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, ‘বিদেশি কোম্পানিগুলো আমাদের এজন্য টিকা দিতে চেয়েছিল, যেন তারা ইরানের মানুষের ওপর টিকার পরীক্ষা চালাতে পারে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তা আটকে দিয়েছে।’

রুহানি আরও বলেছিলেন, ‘টিকার উৎপাদক কোম্পানিগুলোর জন্য আমাদের দেশের নাগরিককে আমরা টিকা পরীক্ষার যন্ত্র হতে দেব না। আমরা নিরাপদ টিকা কিনবো।’

এরপর গত ২৬ জানুয়ারি রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক-৫ টিকা অনুমোদন দেয় ইরান। দেশটি ওইসময় জানায়, দেশীয় ভ্যাকসিন উৎপাদনের কাজ শুরু করেছে তেহরান। তবে তার আগপর্যন্ত কেবল রাশিয়া, ভারত ও চীনের ভ্যাকসিনের ওপর নির্ভর করবে তারা। এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি রুশ টিকার মাধ্যমে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করে ইরান। রাজধানী তেহরানের প্রধান সরকারি হাসপাতালে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।