বাবার কাছেই থাকতে চায় মাইশা

প্রকাশিত: ১২:০২ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৩, ২০২০

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ মা আমাকে ছোট ফেলে চলে গেছে। আমার কোন খোঁজ খবর নেয় না। এক বছরে আগে আমাকে রেখে গেছে। তার পর আর দেখা হয়নি। বাবা, দাদা- দাদী আমার দেখা শুনা করছে। তারা আমাকে অনেক আদর করে। আমি তো দাদীর কাছেই ঘুমাই। সে আমারে গোসল করায়,খাইয়ে দে সবসময় সাথে সাথে রাখে। তাদের ও আমি ভালোবাসি। বাবা, দাদা- দাদী কে ছেড়ে কোথাও যাবো না। মায়ের কাছে নয় বাবার কাছেই থাকতে চাই আমি। ও আমার মা না। ওকে ঘৃনা করি। এমনই আবেগঘন কথা বলে ০৫ বছর বয়সী ছোট্ট শিশু মাইশা জাহান।

মাইশা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জিল্লুর রহমানের পুত্র মোঃ সাইফুল ইসলাম রিপনের ছোট মেয়ে। ঘটনার বিবরনে মাইশার দাদা মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন,গত ২০০৮ সালে পটুয়াখালীর পশারিবুনিয়া গ্রামের মোঃ মজিদ হাওলাদারের মেয়ে শাহনাজের সাথে আমার ছেলে রিপনের বিবাহ হয়।

বিবাহের পর শাহনাজকে পড়াশোনা করিয়ে সরকারি চাকরি দিয়েছি। কিন্তু গত বছর ২৪ অক্টোবর স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে ছোট্ট মাইশাকে ফেলে শাহনাজ রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যায়। তারপর দীর্ঘ এক বছরে ও কোন যোগাযোগ করে না ও খোঁজ খবর নেয় না মাইশার।আমরা অনেক কষ্ট করে মাইশাকে লালন পালন করছি। কিন্তু হঠাৎ শাহনাজ এখন মাইশাকে তার কাছে নেওয়ার জন্য আদালতে মামলা করে। মামলা আমলে নিয়ে পটুয়াখালীর বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদলতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাইশাকে নিয়ে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। মাইশার জবানবন্দির ভিত্তিতে ম্যাজিস্ট্রেট মাইশার বাবা রিপনের জিম্নায় মাইশাকে প্রদান করে। শুনিছি শাহনাজের গ্রামের বাড়ি কোন এক ছেলের সাথে তার সম্পর্ক। সে আমাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করছে।

মাইশার বাবা রিপন বলে,ওর মা চলে যাওয়ার পর অনেক কষ্টে লালন পালন করছি। মাইশাকে আমার কাছে রাখতে চাই। বিশ্বাস ঘাতকের কাছে পাঠাবো না।

মাইশার মা শাহনাজ বলেন,আমি ফ্যামিলি প্লানিং এ চাকরি করি। আমার সাথে কারও কোন সম্পর্ক নাই। মির্জাগঞ্জ থেকে আমাকে কলাপাড়ায় বদললি করায় আমি ওখানে চলে যাই। আমি আর ও সংসারে ফিরতে চাই না। রিপনকে তালাকনামা পাঠিয়ে দিয়েছি। আমার মেয়ে মাইশাকে আমার কাছে ফেরত চাই।