মোরিয়া শিবিরের অভিবাসীদের সরিয়ে নিচ্ছে গ্রিস

প্রকাশিত: ৫:২১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রিসের লেসবস দ্বীপের মোরিয়া আশ্রয় কেন্দ্রের হাজার হাজার শরণার্থী এবং অভিবাসীকে পার্শ্ববর্তী নতুন একটি শিবিরে সরিয়ে নিচ্ছে দেশটির পুলিশ। নারী এবং শিশুদের পাশের অস্থায়ী কারা টেপে শিবিরে সরিয়ে নেয়ার জন্য দেশটির পুলিশের অন্তত ৭০ নারী সদস্য কাজ শুরু করেছেন বলে বৃহস্পতিবার খবর দিয়েছে বিবিসি।

গত সপ্তাহে লেসবসের মোরিয়া শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। শিবিরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার জন্য বুধবার চার আফগান আশ্রয়প্রার্থীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে কারা টেপে শিবিরে এক হাজার ৮০০ জনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে দেশটির সরকারি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। মোরিয়া আশ্রয় কেন্দ্র অত্যধিক জনাকীর্ণ এবং নোংরা হওয়ায় শরণার্থী এবং অভিবাসীদের অনেকেই লেসবসে থাকতে চান না। তারা ইউরোপের যেকোনও দেশে, বিশেষ করে জার্মানিতে যেতে চান।

গ্রিসের বৃহত্তম এই আশ্রয় শিবির অগ্নিকাণ্ডের কারণে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় ১২ হাজারের বেশি মানুষ রাস্তায় দিনাতিপাত করছেন। শিবিরের আশপাশে রাস্তায়, খোলা আকাশের নিচে বসবাসরত এই শরণার্থী এবং অভিবাসীরা প্রচণ্ড খাদ্য, পানীয় সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছেন।

তবে অস্থায়ী কারা টেপে শিবিরে সরিয়ে নেয়ার আগে অভিবাসীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, এতে অন্তত ৫৬ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। করোনায় আক্রান্ত অভিবাসীদের আইসোলেশনে রাখতে ব্যাপক বেগ পোহাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

গত মাসে এই শরণার্থী শিবিরের অন্তত ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। পরে তাদের আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু অভিবাসীদের অনেকেই আইসোলেশনের বিরোধিতা করেন। এর পরপরই গ্রিসের এই দ্বীপে অগ্নিকাণ্ড ছড়িয়ে পড়ে।

মোরিয়ায় বিশ্বের ৭০টি দেশের মানুষ আশ্রয় পেয়েছেন। তবে তাদের বেশিরভাগই যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের নাগরিক। মোরিয়া শিবিরের এক হাজার ৫৫৩ জন অভিবাসীকে আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে জার্মানির সরকার; ৪০৮টি পরিবারের এই সদস্যরা শরণার্থীর মর্যাদা পেয়েছেন।

এর আগে সঙ্গীহীন ১৫০ শিশুকে ঠাঁই দেয়ার ঘোষণা দেয় জার্মানি। গত সপ্তাহে গ্রিস পালানো ৪০০ শিশুকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ আশ্রয় দিতে রাজি হয়। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।