গুমাই নদীতে ট্রলার ডুবিতে ১০ জনের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ৯:৪২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২০

চয়ন কান্তি দাস,ধর্মপাশা প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থেকে নেত্রকোনার ঠাকুরাকোনা উদ্দেশ্য ছেড়ে যাওয়া ট্রলারটি কলমাকান্দা উপজেলার বরখাপন ইউপির রাজনগর গ্রামের সামনে বিপরিত দিক থেকে আসা বালুবাহী নৌকার সাথে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে নারী পুরুষ ও শিশুসহ মোট ১০ জন মারা যায়। সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ট্রলার ডুবিতে নিহত প্রত্যেক পরিবারের সদস্যকে নগদ ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর থেকে যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি কলমাকান্দা হয়ে নেত্রকোণা সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা যাচ্ছিল। পথিমধ্যে নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার বরখাপন ইউনিয়নের রাজনগর গ্রাম সংলগ্ন গুমাই নদীতে বালুবাহী বড় নৌকার ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়।

এতে এখন পর্যন্ত মোট নারী, পুরুষ ও শিশুসহ মোট ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতরা হলো ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর ইউনিয়নের ইনাতনগর গ্রামের আব্দুল ছায়েদের স্ত্রী মাজেদা আক্তার জাবেদা (৫৫), আলমগীর মিয়ার ছেলে অনিক আহমেদ জনি (৬), আব্দুল ওহাবের স্ত্রী ও শিশু সন্তান লৎফুরনাহার (২৬), রাকিবুল হাসান (৩), হাবিকুল মিয়ার স্ত্রী ও শিশু সন্তান লাকি আক্তার (৩০), টুম্পা আক্তার (৭), পাইকুরাটি ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে সুলতান মিয়া (৪৫), একই গ্রামের জুবায়েরের ছেলে মোজাহিদ (৫) এবং নেত্রকোনা জেলার মেদনী ইউনিয়নের মেদনী গ্রামের আবুচানের স্ত্রী হামিদা (৫০)। লাশ তাদের পরিবারের স্বজনদের কাছে হ্স্তান্তর করা হয়েছে। আরো ১০ থেকে ১২ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে যায়।

মধ্যনগর থানার ওসি আব্দুল আল মামুন ট্রলার ডুবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু তালেব বলেন, নিহত প্রত্যেক পরিবারকে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার ও নেত্রকোনা জেলা প্রশসানের পক্ষ থেকে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পরিবারের সদস্যদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।