নির্মাণের ৪ বছরেই ভেঙে পড়লো সেতু, জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: ৭:৪৯ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নির্মাণের চার বছরের মধ্যেই ভেঙ্গে পড়লো গ্রামবাসীর চলাচলের একমাত্র ভরসা সেতুটি। গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের ষোলআনী গ্রামে দুর্যোগ ও পূনর্বাস ২০১৪/১৫ অর্থবছর প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়ে ছিলো সেতুটি। তবে নির্মাণের ৪ বছরের মধ্যেই গত বছরের ভেঙ্গে যায় সেতুটি। তখন থেকেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে সেতুটি।

গ্রামবাসী ও কৃষি কাজে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ব্রিজটি দিয়ে ষোলআনী আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা ও চরজাপটা, বেড়িমোল্লাকান্দির বাসিন্দাসহ প্রায় আড়াই হাজার লোকজন চলাচল করেন ব্রিজটি দিয়ে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা ও ব্রিজটি ব্যবহার করে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল পরিবহন যোগে আনা নেওয়া করেন। কিন্তু ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় তাদের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে গিয়েছে।

ষোলআনী গ্রামের তাহের আলী জানান, তাহার বাড়ির পাশে খালের উপর অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়ে ছিলো প্রায় ২২ ফুট দৈর্ঘ্যরে সেতুটি। নির্মাণের শুরু থেকেই স্থানীয় ঠিকাদাররা অবকাঠামো দুর্বলভাবে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে তৈরি করা হয় ব্রিজটি। পরে নির্মাণ শেষের চারবছরের মধ্যেই গত বছরের জুন মাসের শেষের দিকে ব্রিজটির একাংশ ভেঙে পরে। সাথে সাথে তাহার বাড়িরও কিছু অংশ স্রোতে ভেঙে যায়।

এলাকার তরুণ সমাজসেবক মেহেদী হাসান সবুজ দেওয়ান জানান, গত বছরে বৈশাখ মাসে ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার ফলে ষোলআনী আবাসন প্রকল্প ও চরজাপটা, বেড়িমোল্লাকান্দির জনগণ দুর্ভোগের পরে। পরে এলাকাবাসীদের নিয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে বালুর বস্তা ফেলে জনগণের চলাচল ব্যবস্থা করা হয়। এরপর কয়েক দফায় দুর্যোগ পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিদর্শন করলেও এখনো কোন সুফল পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, গত বছর ব্রিজটি ভেঙে পড়লে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে ব্রিজটি পরিদর্শন করা হয়। পরে একই স্থানে ৫০মিটারের একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য বাজেট চেয়ে আবেদন করা হয়। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে আবেদনটি স্থগিত হয়ে আছে। প্রয়োজনে আবারো যোগাযোগ করা হবে।