গরমে তাল শাঁসের কদর বেড়েছে গোপালগঞ্জে

প্রকাশিত: ৮:০৮ অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : গোপালগঞ্জের শহর ও গ্রাম অঞ্চলের পাড়া মহল্লায় বিক্রি হচ্ছে তাল শাঁস। প্রচণ্ড গরমে একটু স্বস্তি পেতে তাল শাঁস কিনে নিচ্ছেন অনেকে। গ্রীষ্মকালে এ এলাকার মানুষের কাছে এটা একটি সুস্বাদু, রসালো ও ঠান্ডা প্রকৃতির ফল।
শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সবাই তাল শাঁস খেতে পছন্দ করে। কচি তাল শাঁস সকলকে তৃপ্তিও দেয়। গরমে সাধারণ মানুষের জীবন যখন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে তখন তাপদাহ খেকে বাঁচতে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা পর্যন্ত তাল শাঁস খেয়ে স্বস্তি পায়।

সারাদেশের মতো গোপালগঞ্জেও চলছে তীব্র তাপদাহ। এই তাপদাহ থেকে একটু স্বস্তি পেতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে মধু মাসের ফল তাল শাঁসের কদর বেড়ে যায় বহুগুণ। করোনার প্রার্দুভাবের মধ্যেও গোপালগঞ্জ শহরসহ বিভিন্ন হাট-বাজার ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিক্রি হচ্ছে তাল শাঁস। ছোট বড় সবাই প্রচন্ড গরমে একটু স্বস্তি পেতে ভিড় করছেন তাল শাঁস বিক্রেতাদের কাছে। অনেকে আবার পরিবারের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

রিকশাচালক থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী পেশার লোকজনই মৌসুমী ফল তাল শাঁস কিনতে ভীড় করছেন ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের কাছে। এসব বিক্রেতারা গোপালগঞ্জের বিভিন্ন গ্রাম থেকে তাল শাঁস কিনে ভ্যানযোগে শহরে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। মৌসুমী ফল বিক্রি করে চলে তাদের জীবন-জীবিকা। আবার পাকা তাল বিক্রি করতে না পারায় তাল শাঁস বিক্রিতে আগ্রহ গাছ মালিকদের।

ক্রেতারা জানান, অসহ্য গরমের স্বস্তির একমাত্র ফল হচ্ছে তাল শাঁস। মানুষ ফরমালিন মুক্ত যে ফলটি পায় সেটি হলো তাল শাঁস। তাল শাঁস মধু মাসের ঠান্ডা প্রকৃতির একটা ফল। শিশুরা বায়না ধরেছে, তাই তাদের জন্য তাল শাঁস কিনতে এসেছেন অনেকেই।

বিক্রেতারা জানান, তাল শাঁস ৫ টাকা পিস কিনে এনেছি। ঘুরে ঘুরে ৫ থেকে ১০ টাকা করে বিক্রি করি। বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। যা বেচা বিক্রি হয় তাতে আমাদের সংসার ভালই চলে। যে প্রচন্ড গরম তাতে তাল শাঁস লোকজন ভালোই খাচ্ছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, ‘গরমের এই সময়ে এ অঞ্চলের মানুষের একটা প্রিয় ফল তাল শাঁস। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পেটও ঠান্ডা রাখে। তাছাড়া এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পানি ও খাদ্য উপাদান রয়েছে যা মানুষের দেহের জন্য উপকারী।’