কেন্দুয়া মদন গোগ সড়কের বেহাল দশা

প্রকাশিত: ৭:৪৬ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিডির আওতায় কেন্দুয়া মদন গোগ সড়কের বেহাল দশা চরমে পৌছেছে। হারিয়ে ফেলতে বসেছে স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যবস্থা। সড়কের ১৩ কিলোমিটার জুড়েই খানা খন্দকে ভরা থাকায় খুবই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে।

হাওড়ের ভাটি বাংলার প্রবেশ দ্বার হিসাবে খ্যাত মদন উপজেলা থেকে রাজধানী ঢাকা, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, সিলেট এবং চট্টগ্রামসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে এসড়কেই চলাচল করে থাকে সাধারণ গণপরিবহণ ও যাত্রীরা। ভাটি এলকার শতশত লোকের চলাচলের একমাত্র সড়ক কেন্দুয়া মদন গোগ। এই ১৩ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে কেন্দুয়া সদর থেকে কাঞ্জিয়ার খাল পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা খুবই করুন।

কান্দিউড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, কাঞ্জিয়ার খাল নামক স্থানে সাধারণ যাত্রীদের যানমালের নিরাপত্তাদিতে চার পাঁচ বছর আগে নির্মিত হয়েছে একটি পুলিশ বক্স। কিন্তু সড়কটিতে খানা খন্দকে ভরা থাকায় পুলিশকেও স্বাভাবিক দায়িত্ব পালন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

গোগ গ্রামের বাসিন্দা বিআরডিবির চেয়ারম্যান মোঃ মুখলেছুর রহমান বলেন কাঞ্জিয়ার খাল নামক স্থানে বছরে পাঁচ ছয় বার ছিনতাই, ডাকাতি সংঘটিত হয়ে যাত্রী সাধারণের মালামাল লুট হয়ে থাকে। অনেক সময় এই সড়কের পাশে সাইডুলি নদী থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ ও উদ্ধার করে থাকে পুলিশ। সড়কটিতে বড়বড় গর্ত ও খানা খন্দকে সৃষ্টি হওয়ায় বর্ষাকালে একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয় পড়ছে।

অন্যদিকে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যও বাজারজাত করতে পারছেন না। ফলে এলাকাটি অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়ছে। কেন্দুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (বর্তমানে পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মাহমুদুল হাসান এই সড়কটির জরুরী সংস্কারের দাবি জানিয়ে তিনি তার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি সচিত্র সংবাদ পোষ্ট করেছিলেন। কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান জনগনের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে সড়কটি জরুরী সংস্কার করার দাবি তুলেন। কিন্তু এ সড়কটির সংস্কার কবে হবে, এটাই হাজারো জনতার প্রশ্ন? স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলীল মোঃ জাকির হাসান জানান এই সড়কটি ভাটি এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমানে এর অবস্থা ভালো না। খানা খন্দকে ভরা থাকায় যান চলাচল ও সাধারণ যাত্রীরাও চলাচলে হিমশিম খাচ্ছে।

তিনি বলেন, নেত্রকোনা- ৩ আসানের এমপি অসীম কুমার উকিল ও এলজিইডির নেত্রকোনা নির্বাহী প্রকৌশলীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় সড়কটির সংস্কারের অনুমোদন পেয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী দুই তিন মাসের মধ্যেই টেন্টার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে সংস্কার কাজ শুরু হবে।