তথ্য জালিয়াতির অভিযোগে মালয়েশিয়ায় দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

প্রকাশিত: ৫:২৩ অপরাহ্ণ, জুন ৭, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের ভূয়া টেস্ট রিপোর্ট তৈরির সময় হাতে নাতে দুই বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে দেশটির গোয়েন্দা পুলিশ।
শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের জালান আলোর নামক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

দেশটির অনলাইন সংবাদ মাধ্যম হারিয়ান মেট্রোর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে ওই প্রতিবেদনে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

কুয়ালালামপুর পুলিশ প্রধান দাতুক মাজলান লাজিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত দুই সপ্তাহ ধরে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদেশি অভিবাসীদের কাছে মালয় রিংগিতের ৫০ (১ হাজার টাকা) বিনিময়ে করোনা ভাইরাসের নেগিটিভ রিপোর্ট বিক্রি করে আসছে এই সিন্ডিকেট গ্রুপ। অবশেষে আমরা তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘১২ হাজার টাকার দোকান ভাড়া নিয়ে ও স্থানীয় দু’জন নাগরিককে চাকরি দিয়ে কাউন্টারে রেখে প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে রাত ৯টা অবধি এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে তারা। পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি জাল কোভিড-১৯ স্ক্রিনিং পরীক্ষার রিপোর্ট, একটি ফাঁকা ল্যাবলিঙ্ক মেডিকেল ল্যাবরেটরি লেটারহেড ও ১ হাজার ৩৩১ মালয় রিংগিত (২৬ হাজার ৫শ টাকা) উদ্ধার করে। এছাড়াও পুলিশ দুটি ল্যাপটপ, ৩টি প্রিন্টার, দুটি ল্যামিনেটর মেশিন ও কোভিড -১৯ স্ক্রিনিং পরীক্ষার ফলাফলের দুটি শীটসহ বেশ কয়েকটি আইটেমও বাজেয়াপ্ত করেছে।’

কুয়ালালামপুর পুলিশ প্রধান বলেন, ‘কোভিড -১৯ স্ক্রিনিং পরীক্ষার ফলাফলের রিপোর্ট নকল করার বিষয়টি পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। বেআইনীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

গ্রেফতারকৃত দুই বাংলাদেশির বিরুদ্ধে সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ ১৯৮৮ এর ধারা ২২ (ডি), দণ্ডবিধির ধারা ৪৬৮, দণ্ডবিধির ধারা ৪৭১ এবং ইমিগ্রেশন আইনের ধারা ৬ (১) (সি) এর অধীনে মামলাগুলো তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুনরায় কাজে যোগদানের জন্য দেশটিতে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা সকল বিদেশি শ্রমিকদের জন্য বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। এই পরীক্ষার খরচ নিয়োগদাতা সংস্থা বহনের নির্দেশ সরকার দিলেও বিভিন্ন জটিলতার কারণে কোন কোন ক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিজ খরচে করতে হচ্ছে। পরীক্ষার করতে প্রায় ৩ থেকে ৪ শ রিংগিত (৬-৮ হাজার টাকা) খরচ হয়।