ফুলবাড়ীতে প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি

প্রকাশিত: ৭:২৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ী ঢলে ধরলা, নীলকোমল ও বারোমাসিয়া নদীর পানি বেড়ে দ্বিতীয় দফা বন্যায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

বাঁধ, পাকা রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছেন ৭শ পরিবার। গ্রামীণ যোগাযোগের নিচু এলাকার পাকা, আধা পাকা ও কাঁচা সড়কগুলো ভেঙ্গে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে শত শত বিঘার পাট, ভুট্টা, সবজি ক্ষেত, বীজতলা ও আউশ ধান।

এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমলেও কাটেনি বানভাসীদের দুর্ভোগ।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী এলাকায় শেখ হাসিনা ধরলা সেতু পয়েন্টে ধরলার নদীর পানি বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার আঘাতে বিপর্যদস্ত হয়ে পড়েছেন চাষীরা।

উপজেলার তালুকদারপাড়া, রাঙ্গামাটি, সরদারপাড়া, খোচাবাড়ি, চরধনিরাম, পূর্ব ও পশ্চিম ধনিরাম, শিমুলবাড়ি, চর শিমুলবাড়ি, সোনাইকাজি, মরানদি, জোতকৃষ্ণ, প্রাণকৃষ্ণ, কবিরমামুদ, রামপ্রসাদ, জোতিন্দ্রনারায়ণ, চর-গোড়ক মন্ডল, নামাটারী, কাঞ্চিয়ারকুটি, খোকার চর ও পশ্চিম ফুলমতিসহ ২০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

উপজেলা প্রশাসন জানায়, বন্যাদুর্গতদের জন্য জিআরের ১২ মেট্রিক চাল ও ৩০ হাজার টাকা মজুদ আছে। মঙ্গলবার দুপুরে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন ২৪০ পরিবার ও ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের ৩৪০ পরিবারসহ দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতারণ করা হয়েছে। দু’টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ মোট ৪১টি স্কুল আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার ও নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান জানান, বন্যা মোকাবেলা ও দুর্গতদের ত্রাণ সহায়তা দিতে নৌকাযোগে মঙ্গলবার দুপুরে নাওডাঙ্গা ও ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নসহ মোট ৫৮০টি পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, সাবানসহ শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার বাকি ৩টি ইউনিয়নে বিতরণ করা হবে। বানভাসীদের দুর্ভোগ না কমা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন সব সময় পাশে থাকবে। পানিবন্দি ও বানভাসীদের পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।