পঞ্চগড়ের বিদেশ ফেরত ৮ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে

প্রকাশিত: ১:১৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক : পঞ্চগড় জেলার সদর, দেীবগঞ্জ ও বোদা উপজেলায় বিদেশ ফেরত এক নারীসহ আট জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি আট জনই দুবাই, সিঙ্গাপুর, সৌদিআরব, ওমান, মালয়েশিয়া ও দক্ষিন কোরিয়া থেকে ফিরেছেন। তবে তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষন পাওয়া যায়নি।

বুধবার বিকেলে পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. মো. ফজলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ১ জন, দেবীগঞ্জের ৪ জন এবং বোদা উপজেলার ৩ জন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, গত ৪ মার্চ দক্ষিন কোরিয়া হতে দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরের মুন্সিপাড়াস্থ গ্রামের বাসায় ফিরেন বাদল (৩০)।

গত ৮ মার্চ পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের আজাদপুর এলাকার মো. রুবেল (৩০) ওমান থেকে বিমান যোগে ঢাকায় ফিরেন। পরে তিনি সড়ক পথে বাড়িতে আসেন। গত ১০ মার্চ জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের কলোনী পাড়া এলাকার সূর্যবানু (৩৫) নামে এক নারী দুবাই থেকে ঢাকায় ফেরেন। পরদিন তিনি গ্রামের বাসায় ফেরেন।

গত ১১ মার্চ দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরদিঘি ইউনিয়নের আতাউর রহমান সৌদি আরব থেকে বিমানযোগে প্রথমে ঢাকায় এরপর বাস যোগে গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন।

গত ১৪ মার্চ মালেশিয়া থেকে দেশে ফিরেন বোদা উপজেলার ঝলইশালশিরি ইউনিয়নের বাগানবাড়ি এলাকার আশরাফুল ইসলাম (৩২) ও বেংহাড়ি বনগ্রাম ইউনিয়নের সইমনপাড়া এলাকার মকছেদুল ইসলাম (২৭), একই দিন ১৪ মার্চ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেন দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাংগা ইউনিয়নের সাইফুল ইসলাম। সে সিঙ্গাপুর থেকে বিমানযোগে ঢাকায় আসেন এরপর তিনি গ্রামের বাড়িতে এসেছেন।

সর্বশেষ গত ১৭ মার্চ রাতে দেবীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরদিঘী ইউনিয়নের খরারপাড় এলাকার সাদ্দাম হোসেন নামে (৩২) এক ব্যক্তি সিঙ্গাপুর থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন। এদের সকলকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রত্যয় হাসান ও দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসিনুর রহমান জানান, বিদেশ ফেরত চারজনের শরীরে করোনার কোন লক্ষন পাওয়া যায়নি। ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে ১৪ দিন পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে সার্বক্ষনিক তাদের নজরদারি করা হচ্ছে।

বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস আই এম রাজিউল করিম জানান, বিদেশ ফেরত ৩ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিরিক্ষা করে করোনার কোন উপসর্গ পাওয়া যায়নি। তবে তাদেরকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কর্মীদের তত্বাবধানে তাদের নজরদারি করা হচ্ছে।

পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. মো, ফজলুর রহমান জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের তত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারিরা হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা ব্যক্তিদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তবে তিনি কারো শরীরে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ পাওয়া যায়নি বলে জানান।