সাংবাদিক পরিচয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে টাকা দাবি, অতঃপর জেল-জরিমানা

প্রকাশিত: ১:৪০ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : সাদা রঙের নোহা (ঢাকা মেট্রো গ- ১৪-৬৮৫২) মাইক্রোবাস। গাড়িতে বিভিন্ন মিডিয়া হাউজের স্টিকার, ভিজিটিং কার্ড, বুম। আর ওই গাড়িতে চেপে কথিত পাঁচ সাংবাদিক সরাসরি উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে। এসেই নিজেদের অনেক বড় মাপের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে দেখা করেন।

সেখানে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন এবং আর্থিক সুবিধা দাবি করেন। তিনি তাতে রাজি না হলে সবশেষে তারা দূর থেকে এসেছেন তাই গাড়ির তেল খরচ ও দুপুরের খাবারের জন্য অর্থ দাবি করেন। পরে বিষয়টি সন্দেহ হলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় মূলধারার গণমাধ্যম কর্মী এবং পরিচয় দেওয়া হাউজগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাতে প্রতারণার প্রমাণ মেলে।

মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুরের কালীগঞ্জে উপজেলা ভূমি অফিসে এমন ঘটনা ঘটে।

পরে নামধারী ওই পাঁচ সাংবাদিকদের গণ উপদ্রব দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৯১ ধারায় প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আর এ আদেশ প্রদান করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাফছা নাদিয়া।দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, নেত্রকোণার সদর এলাকার মনিরুজ্জামান (৫৪), তিনি নিজেকে বিটিভির খোঁজখবর অনুষ্ঠান ও সাপ্তাহিক এশিয়া বার্তার সাব-এডিটরের পরিচয় দেন; গাজীপুর মেট্রোপলিটন পূবাইল করমতলা এলাকার মাজহারুল ইসলাম অনিক দেওয়ান (২৪), তিনি নিজেকে দৈনিক আজকের আলোকিত সকালের ক্রাইম রিপোর্টারের পরিচয় দেন; একই পত্রিকার ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি পরিচয় দেন টঙ্গী-আরিচপুর এলাকার নাজমুল ইসলাম সেলিম সরকার (৩৪) ও টঙ্গী এরশাদনগর এলাকার কামরুজ্জামান (২৪); এছাড়াও একই পত্রিকার রিপোর্টার পরিচয় দেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সোয়াইবপুর গ্রামের রোজিনা আক্তার (১৯)।

উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাফছা নাদিয়া বলেন, যারা মিডিয়া হাউজের নাম ব্যবহার করে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের ঘটনা ঘটাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে, নিজেকে সাপ্তাহিক এশিয়া বার্তার সাব-এডিটরের পরিচয় দানকারী মনিরুজ্জামান নিজের ভুল স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় এক টেলিভিশন সাংবাদিক তাদেরকে এখানে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসেছিলেন। তবে তিনি ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি।