টাঙ্গাইলে শুরু হলো ‘জামাই মেলা’ দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম দৈনিক সময় সংবাদ ২৪ ডট কম প্রকাশিত: ৪:৪৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৬, ২০২৩ অনলাইন ডেস্ক : টাঙ্গাইলে তিন দিনব্যাপী ‘জামাই মেলা’ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সদর উপজেলার রসুলপুর বাছিরন নেছা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত। একদিকে ঈদের আনন্দ অন্যদিকে মেলাকে কেন্দ্র করে স্কুল মাঠে মানুষের ঢল নেমেছে। এ মেলাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর ১১, ১২ ও ১৩ বৈশাখ (সনাতন পঞ্জিকা অনুসারে) রসুলপুরে মেলা বসে। এই মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের অন্তত ৩০ গ্রামের জামাইয়েরা শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে আসেন। তারাই মেলার মূল আকর্ষণ। এছাড়াও মেলার দিন শাশুড়িরা মেয়ের জামাইয়ের হাতে কিছু টাকা দেন। সেই টাকা দিয়ে জামাই বাজার করে এনে শ্বশুড় বাড়ির লোকদের খাওয়ান। এ কারণেই মেলাটি ‘জামাই মেলা’ হিসেবে পরিচিত। তিন দিনে রসুলপুরসহ আশপাশের গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে এই মেলায়। মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের খেলনা, প্রসাধনী, খাবারের দোকানসহ ছোট-বড় দেড় শতাধিক দোকান বসেছে। এই মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছেন দোকানিরা। মিষ্টিজাতীয় পণ্যের দোকানও আছে। এছাড়াও এ মেলায় একাধিক ফার্নিচারের দোকানও বসেছে। বড়দের পাশাপাশি ছোট ছেলেমেয়েরা এই মেলা উপভোগ করছেন। রসুলপুর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি হারেজ মিয়া বলেন, আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখনও দাদার কাছে এই মেলার কথা শুনেছি। বাড়ির মেয়ের জামাইরা মেলাকে কেন্দ্র করে বাড়ি আসায় ও মহাসড়কের পাশে হওয়ায় মেলাটি প্রতি বছর জমে উঠেছে। এটি জেলার মধ্যে সবচেয়ে ঐতিহ্যাবাহী বড় মেলা। সুকুমার সাহা ও প্রদীপ সাহা নামের একাধিক জামাই বলেন, প্রতি বছরই আমরা শ্বশুর বাড়ি থেকে মেলায় আসার দাওয়াত পাই। এই মেলা আমাদের কাছে খুব আকর্ষণীয়। মেলাকে কেন্দ্র করে অনেক আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা হয়। তাদের সঙ্গে ভাব মিনিময় হয়। সব মিলিয়ে আমরা মেলার দিন আনন্দে মেতে উঠি। রসুলপুরের কথা সাহিত্যিক রাশেদ রহমান বলেন, এই মেলার বয়স দেড় শতাধিক হবে। এ এলাকার মানুষের কাছে ঈদ বা পূজাপার্বণের মতোই এই মেলা উৎসবের। মেলাটি বৈশাখী মেলা হিসেবে ব্রিটিশ আমলে শুরু হলেও এখন এটি জামাই মেলা হিসেবে পরিচিত। মেলা সামনে রেখে রসুলপুর ও এর আশপাশের বিবাহিত মেয়েরা তাদের স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন। আর জামাইকে মেলা উপলক্ষে বরণ করে নেওয়ার জন্য শ্বশুর-শাশুড়িরা বেশ আগে থেকেই নেন নানা প্রস্তুতি। এছাড়াও রসুলপুরসহ আশপাশের গ্রামের যুবকদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী করা হয়েছে। এতে করে মেলার পরিবেশ স্বাভাবিক থাকে। পার্শ্ববর্তী বড় বাসালিয়া গ্রামের আকড়ি ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি রডমিস্ত্রির কাজ করি। মেলা এলে একটু বাড়তি লাভের আশায় কয়েক বছর যাবৎ আকড়ি বিক্রি করি। বর্তমানে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা দরে আকড়ি বিক্রি হচ্ছে। সব মিলিয়ে ব্যবসা ভালোই হচ্ছে। অন্যান্য মেলার চেয়ে এই মেলা অনেক নিরাপদ। অপর ব্যবসায়ী ফরিদা বেগম বলেন, এটি টাঙ্গাইল জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা। দুপুর থেকেই নারী পুরুষ, শিশু থেকে বৃদ্ধ সব শ্রেণী পেশার মানুষ মেলায় ভিড় করছে। তারা বিভিন্ন ভাবে মেলা উপভোগ করে থাকেন। মেলা কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসেম বলেন, মেলায় দুই শতাধিক দোকান বসেছে। এই মেলায় মিষ্টি জাতীয় খাবার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। মেলায় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করছে। মেলায় খাবার আইটেম, খেলনাসহ বিভিন্ন ফার্নিচারও পাওয়া যায়। Share this:FacebookX Related posts: টাঙ্গাইলে ট্রাক্টর বন্ধে রাস্তায় মাঝে শুয়ে পড়লেন চেয়ারম্যান করোনা রোগীর চিকিৎসায় টাঙ্গাইলে মেডিকেল অক্সিজেন উৎপাদিত হচ্ছে টাঙ্গাইলে সাড়ে তিন হাজার আনসার ভিডিপি সদস্যের মাঝে ত্রাণ বিতরণ টাঙ্গাইলে ট্রাক উল্টে চালক নিহত টাঙ্গাইলে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে একই পরিবারের নিহত ৪ টাঙ্গাইলে ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫ টাঙ্গাইলে বুুড়িগঙ্গা নদীর পুনঃখনন প্রকল্পের উদ্বোধন টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত, প্রতিবাদে ট্রাকে আগুন টাঙ্গাইলে করোনায় আ’লীগ নেতার মৃত্যু টাঙ্গাইলে সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ টাঙ্গাইলে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন টাঙ্গাইলে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু SHARES Matched Content ঢাকা বিভাগ বিষয়: ‘জামাই মেলা’টাঙ্গাইলেশুরু হলো