জামিন পেলেন রাহুল গান্ধী

প্রকাশিত: ২:২৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : মোদির পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে দায়ের হওয়া মানহানি মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে জামিন দিয়েছে সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। খবর এনডিটিভির।

এই মামলায় কংগ্রেস নেতাকে দু’বছরের সাজার নির্দেশ দিয়েছিল সুরাটেরই ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৩০ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে থাকা রাহুল।

আদালতের এই রায়ের পর পরবর্তী শুনানির দিন অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত রাহুলের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।

কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, দায়রা আদালতে নিম্ন আদালতের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ পাওয়ার জন্য আর্জি জানান রাহুল। রাহুলের হয়ে আদালতে শুনানি করেন তার আইনজীবী আরএস চিমা।

আদালতে নিজেও উপস্থিত ছিলেন রাহুল। তার সঙ্গে ছিলেন বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানের তিন রাজ্য— রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, যথাক্রমে অশোক গহলৌত, ভূপেশ বঘেল এবং সুখবিন্দর সিং সুখু।

রাহুলের আদালতে উপস্থিত থাকা নিয়ে সাবেক এই কংগ্রেস সভাপতিকে বিদ্রুপ করতে ছাড়েনি বিজেপি। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু টুইটারে লিখেছেন, একজন অভিযুক্ত উচ্চ আদালতে আবেদন জানানোর জন্য নিজে যান না, যাওয়ার প্রয়োজনও পড়ে না। কিন্তু রাহুল গান্ধী শিশুদের মতো দলবল নিয়ে ওখানে নাটক করতে গিয়েছেন।

ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রাহুলকে দু’বছরের সাজা দিয়েছিল। এই সাজাপ্রাপ্তির কারণে লোকসভায় রাহুলের সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায়।

জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী, দেশের আইনসভার কোনও সদস্য দু’বছর বা তার বেশি মেয়াদের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হলে ৬ বছরের জন্য তার সদস্যপদ খারিজ হয়ে যায়। ওই সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনও নির্বাচনেও দাঁড়াতে পারবেন না। তবে উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ দিলে বা পুরনো রায় খারিজ করে দিলে অভিযুক্তের আইনসভার সদস্যপদ ফিরিয়ে দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে কর্নাটকের কোলারে রাহুল বলেছিলেন, সব চোরের পদবি কেন মোদি হয়? তার এই মন্তব্যের জন্য গুজরাটে মামলা রুজু হয়। এর ভিত্তিতেই রাহুলকে সাজা দেন সুরাটের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।