আউস বিনাধান ১৯ এর নমুনা শস্য কর্তন

প্রকাশিত: ২:২০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : সরকারের প্রণোদনার আওতায় চাষ করা আউসের বিনাধান ১৯ জাত চিকন হওয়া ও চাষে তুলনামূলক পানি কম লাগায় জয়পুরহাটে কৃষকদের মধ্যে ওই ধান চাষে আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, কৃষি হবে দুর্বার’ এমন শ্লোগানে সামনে রেখে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার মাঠে বৃহস্পতিবার সকালে আউস বিনাধান ১৯ এর নমুনা শস্য কর্তন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ইউসুফ রানা মন্ডল।

আউসের বিনাধান ১৯ এর হেক্টর প্রতি উৎপাদন হচ্ছে তিন দশমিক নয় মেট্রিক টন ধান। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে আউস চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সরকারের পক্ষ থেকে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা কৃষি প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। সুবিধাপ্রাপ্ত কৃষক সংখ্যা ১৬০০ জন। প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের উফশী বীজ পাঁচ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি সার প্রদান করা হয়। স্বল্প সময়ের ফসল আউস বিনাধান ১৯ জাতটির ফলন ভালো আবার সাইজে চিকন হওয়ায় বাজারে এ চালের চাহিদা অনেক বেশি।

এছাড়াও, গবাদি পশুর খাদ্য হিসেবে অসময়ে খড় পাওয়া যাচ্ছে ফলে আউস চাষে জেলার কৃষকদের মাঝে আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধান কাটার পরে আগাম জাতের সবজি চাষ করতে পারবেন কৃষকরা।

নমুনা শস্য কর্তন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মজিবর রহমান, অতিরিক্ত উপরিচালক উদ্ভিদ (সংরক্ষণ) মো. শহিদুল ইসলাম, আক্কেলপুর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইমরান হোসেন।

বগুড়া অঞ্চলের উপপরিচালক ইউসুফ রানা মন্ডল জামালগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টার ও আমন ফসলের মাঠ পরিদর্শন শেষে স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও কৃষকদের সঙ্গে সার্বিক সার ব্যবস্থাপনা ও সেচ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।