নওগাঁয় বন্যা আর বৃষ্টিপাতে পেঁপের ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশিত: ৯:৫০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক : নওগাঁর রাণীনগরে বাণিজ্যিক ভাবে পেঁপে চাষ করতে গিয়ে উৎসাহ হারাতে বসেছেন কৃষকরা। স্বল্প টাকায় জমি লীজ নিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে পেঁপে চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও লাগাতার বৃষ্টি আর বন্যার কারণে পেঁপে ধরার আগ মুহুর্তে গাছগুলো হলুদ বর্ণ হয়ে মরে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

চলতি মৌসুমে এই সমস্ত বাগানে পেঁপে ধরার আর কোন সম্ভাবনা না থাকায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন চাষীরা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশগত কারণে রাণীনগর উপজেলা ধান চাষের জন্য বিখ্যাত। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে এক ঘেয়েমী ফসল চাষের প্রবণতা থেকে কৃষকদের ফিরে আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন রকমের লাভজনক সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কৃষক পরীক্ষামূলক ভাবে বাড়ির আশপাশে এবং উঁচু দো’আঁশ জাতের মাটিতে ধান চাষের পাশাপাশি পেঁপে চাষ শুরু করেছেন। কিন্তু সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ৩ বারের বন্যা আর ভারী বর্ষণের কারণে নষ্ট হয়ে গেছে পেঁপে বাগানগুলো। এতে করে যেসব কৃষকরা জমি লীজ নিয়ে পেঁপে চাষ শুরু করেছিলেন তারা অনেকটাই ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তবে এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।

উপজেলার ভবাণীপুর গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আমি কাশিমপুর ইউনিয়নে চক-কুজাইল মৌজায় প্রায় ৫ বিঘা জমি প্রতি বছর ৯ হাজার টাকা দরে লীজ নিয়েছি। অন্যান্য শাক সবজি চাষের পাশাপাশি প্রায় ১ বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করেছি। শুরুতে গাছগুলো ভালো থাকলেও লাগাতার বৃষ্টি আর বন্যার কারণে গাছ মরে যাওয়ায় ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষীরা এখন বাড়ির আশপাশে ও উঁচু জমিতে স্বল্প পরিসরে পেঁপে চাষ করছেন। পেঁপে একটি লাভজনক সবজি। বর্তমানে বাজারে পেঁপের চাহিদা অনেক বেশি হওয়ায় দাম ভালো রয়েছে। কিন্তু উপজেলার কৃষকদের পেঁপে বাগানের ক্ষতি হওয়ায় তেমন একটা লাভবান হবেন না তারা। তবুও বাগানের যে গাছগুলো বর্তমান আছে সেই গাছগুলো থেকে কিভাবে বেশি ফলন পাওয়া যায় সেই পরামর্শ কৃষকদের আমরা দিয়ে আসছি। আর ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। কোন বরাদ্দ এলেই তা কৃষকদের মাঝে প্রদান করা হবে।