হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঝাড়ু–দার করেন ডেলিভারির কাজ, নবজাতক হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫:২৬ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২২

হালুয়াঘাট প্রতিনিধি :

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঝাড়–দার করেন প্রসতি মায়েদের ডেলিভারির কাজ, কর্তব্যরত ডাক্তার নার্সদের থেকেও নাকি অভিজ্ঞ ঝাড়–দার। এমন অভিযোগ এনে বুধবার (২৯ জুন) পৌরশহরের সাহাপাড়া গ্রামের মৃত চিত্ত রঞ্জন সরকার এর পুত্র মানিক চন্দ্র সরকার ন্যায় বিচারের জন্য নবজাতক হত্যার অভিযোগ দায়ের করেছেন উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট।

প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঝাড়–দার উত্তর খয়রাকুড়ি গ্রামের মিনতি রানী রবিদাস ভুক্তভোগীর স্ত্রী সুমা রানী সরকার সন্তান সম্ভবা হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে তাকে ফুসলিয়ে প্রায় নগদ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। গত ৩ মার্চ ২০২২ ইং তারিখ দিবাগত রাত আনুমানিক ৮.০০ ঘটিকায় অভিযোগকারীর স্ত্রী প্রসব জনিত ব্যথা উঠলে তার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় মিনতি তাদের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীকে হাসপাতালে আনতে বাঁধা প্রদান করে বলেন আপনার স্ত্রীর সন্তান বাড়িতেই প্রসব হবে। হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা নতুন ও অদক্ষ। এই বলে তার স্ত্রীকে জোড় পূর্বক ভাবে ইনজেকশন পুশ করে ও ট্যাবলেট চিবিয়ে খাওয়ায়। তারপর সুমা রানীর প্রসব বেদনা তীব্র আকার ধারণ করে ছটফট যন্ত্রনায় অস্থির অবস্থা হলে তাকে হাসপাতালে আনার চেষ্টা করলে আবারও বাঁধা প্রদান করেন। পরে গর্ভে থাকা নবজাতককে টেনে হিচড়ে নার ছেড়ে খালাস করেন। নবজাতকের শ্বাস-প্রশ্বাস না পাওয়ার কথা বলে গালে, মাথায়, বুকে চড় থাপ্পর মারে। নবজাতকের শ্বাস-প্রশ্বাস না আসায় এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন দ্রæত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। মিনতিকে সাথে নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন আপনার এই সর্বনাশ কে করেছে, মানিক বলেন মিনতি রানী রবিদাস, তখন চিকিৎসক তাকে প্রশ্ন করেন আপনি কি করেন তিনি বলেন হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঝাড়–দার হিসেবে কর্মরত। তারপর তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় এবং নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। জোড়পূর্বক ভাবে নবজাতকে ভুমিষ্ট করায়, নার ছেড়া ও চড় থাপ্পর এর কারণে নবজাতক মেয়ে সন্তানকে হত্যা করা হয়। ভুক্তভোগীর স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ্য থাকার কারণে অভিযোগ দায়ের করতে বিলম্ব হইল বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে ঝাড়–দার মিনতি রানী রবিদাস সাংবাদিকদের বলেন, তিনি মানিকের বাড়িতে গিয়েছিলেন, সবাই তাকে দিয়ে ডেলিভারির কাজ করান। তিনি বিভিন্ন মায়েদের ডেলিভারি করিয়েছেন। নবজাতকে হত্যার অভিযোগ ও ডাক্তার নার্সদের অদক্ষ বলার কথা অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুনির আহমেদ বলেন, অভিযোগটি তিনি পেয়েছেন তদন্তপূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহীনুজ্জামান খাঁন বলেন, হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঝাড়–দার কর্তৃক নবজাতক হত্যার একটি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।