সাবেক স্ত্রীকে ফাঁসাতে মামাকে হত্যা

প্রকাশিত: ১০:০২ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক ; নোয়াখালীতে সদর উপজেলায় শৌচাগারের সেপটি ট্যাংক থেকে মো. ওমর ফারুক (৩০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে এতে জড়িত আসামি আনছারুল করিমকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত করিম কক্সবাজার জেরার মহেশখালী উপজেলার কালারমাছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের মো. ইসমাইলের ছেলে। নিহত ফারুক একই ইউনিয়নের উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের খাতুবের বাড়ির মৃত আলী আহম্মদের ছেলে।

সোমবার (৯ মে) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম জানান, নোয়াখালীর সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর সাকলা গ্রামের হারুনের মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে আসামি আনসারুল করিমের ২০১৮ সালে বিয়ে হয়। গত ২০ এপ্রিল কাজীর মাধ্যমে তারা একে অপরকে তালাক দেয়। তালাক দেওয়ায় আনছারুল করিম তাঁর স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও তার পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পনা করে আনছারুল। পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি তার চাচাতো মামা মো. ওমর ফারুককে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে গত ৫ মে আনসারুল করিমের শ্বশুরবাড়ি উত্তর চাকলায় নিয়ে আসে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আনছারুল তাঁর আরেক সহযোগীসহ একই দিন রাত ৯টার দিকে শ্বশুরবাড়ির উত্তর পাশে সুপারি বাগানের মধ্যে নিয়ে মামার শার্ট খুলে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

এরপর আসামি তার শ্বশুরবাড়ির শৌচাগারের সেপটি ট্যাংকের ভিতর মামার লাশ পেলে চট্রগ্রামে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার চার দিন পর মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপর পলাতক আসামি রাসেলকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, এর আগে রোববার ৮ মে দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালীর সদর উপজেলার ৯নং কালাদরাপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চাকলা গ্রামের খোনার মসজিদ সংলগ্ন চুটকি বাড়ি সেপটিক ট্যাংক থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের (৩৫) অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কালাদরাপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাদাত উল্যাহ সেলিম জানান,পচা গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে চুটকি বাড়ির একটি শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।