কুমিল্লা থেকে ৩৮২ পিস গ্যাস সিলিন্ডারসহ চুরি যাওয়া ট্রাক গৌরীপুরে উদ্ধার

প্রকাশিত: ৬:০৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২০

কমল সরকার,গৌরীপুর : কুমিল্লার দেবিদ্বার থেকে চুরি যাওয়া ট্রাক ও ৩৮২টি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার পুলিশ।

এ ঘটনায় গৌরীপুর থানায় ছয় জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলার আসামি সালাউদ্দিন পরাগ ও আমীর আল সারা নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেন।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ট্রাক ও গ্যাস সিলিন্ডার চুরির ঘটনায় মালিক পক্ষের মোঃ মহসিন বাদী হয়ে ২৭ জানুয়ারি সোমবার গৌরীপুর থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে।

অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, পুলিশ চুরি হওয়া ট্রাক ও ৩৮২ পিছ গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্য ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

জানা গেছে, গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জের পানগাও বসুন্ধরা এলপি গ্যাস কোম্পানী থেকে ট্রাকযোগে ৪০০ পিছ গ্যাস সিলিন্ডার কুমিল্লার মুরাদনগর থানার আরাফাত এন্টারপ্রাইজে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে ট্রাক চালক বিল্লাল হোসেন ওইদিন রাতে কুমিল্লার দেবিদ্বার এলাকায় নিজ বাড়ির সামনের সড়কে গাড়ি থামিয়ে বাড়িতে যায়। ঘন্টা দেড়েক পর চালক ফিরে এসে দেখে ট্রাক ও গ্যাস সিলিন্ডার নেই।

এদিকে ২৭ জানুয়ারি ট্রাক ও গ্যাস সিলিন্ডারের মালিক পক্ষ খবর পায় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে গৌরীপুর কলতাপাড়া এলাকায় একটি ট্রাক পড়ে আছে। পরে তারা ঘটনাস্থলে এসে গৌরীপুর থানার পুলিশ নিয়ে ট্রাকটি জব্দ করে।

অপরিদকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গৌরীপুর থানার পুলিশ নেত্রকোনার কেন্দুয়ার শিমুলতলা বাজারে অভিযান চালিয়ে সালাউদ্দিন পরাগ নামে একজনকে গ্রেফতার করে। পরে তার কাছ থেকে ২৬৭টি পিছ গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়।

এরপর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের সাচাইল ইউনিয়ন থেকে আমীর আল সারাকে গ্রেফতার করে। পরে তার গোডাউন থেকে ১১৫ পিছ গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়। মামলার অপর আসামিরা রবিকুল ইসলাম, তোফাজ্জল হোসেন, মোঃ জাহাঙ্গীর ও আলামিন পলাতক রয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরীপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর মোঃ সোলায়মান হক জানান, পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।