আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করার আহ্বান

প্রকাশিত: ৬:০৬ অপরাহ্ণ, মে ৭, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার রায় অবিলম্বে কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম।

শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’’ শীর্ষক এক আলোচনা ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ১৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।

শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান অতিথি বলেন, একজন শিক্ষক থেকে শ্রমিক নেতা হয়ে তৃণমূল পর্যায় থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে আমৃত্যু তিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। বিএনপি-জামাত জোটের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মাস্টারকে যারা হত্যা করেছে তারা আবার আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, জনভিত্তি হারিয়ে বিএনপি এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার হুমকি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ শক্তিশালী বিরোধী চায় বলেই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে মনোনয়নের নামে নানা তামশা করে। নির্বাচনে অংশ না করলে শক্তিশালী বিরোধী দল হওয়া যাবে না। তাই আমরা বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

সংগঠনের সভাপতি এডভোকেট আবদুল বাতেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মসিউর রহমান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন অর রশিদ হাওলাদার, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি গণি মিয়া বাবুল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মশিউর রহমান সরকার বাবু ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ কাজল, জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কে এম শাহ আলম, গাজীপুর পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতা আবদুল মালেক, ছাত্রলীগের নেতা শাহজাদা মিল্টন প্রমুখ।

সভায় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন, শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার গাজীপুর- ২ (সদর-টঙ্গী) আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে দুবার সংসদ সদস্য, ১৯৯০ সালে গাজীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে দু’দফা পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য। তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস)’র চেয়ারম্যান। তিনি শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৯২ সালে উপজেলা পরিষদ বিলোপের পর চেয়ারম্যান সমিতির আহ্বায়ক হিসেবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে মামলা করেন ও দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলেন। একপর্যাযে তিনি গ্রেফতার হন ও কারা ভোগ করেন।

২০০৪ সালের ০৭ মে বিএনপি জোট সরকারের মদদপুস্ট একদল সন্ত্রাসী নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে । ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল দ্রুত বিচার আইনে এ হত্যা মামলার রায় হয়।